অপর ১৫ জনকে ছয় মাস থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি বলছে, বিভিন্ন সময়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৩২ জনকে গ্রেপ্তারের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এদের মধ্যে ৩০ জনই সৌদি আরবের সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।
বাকি দুজনের একজন ইরানি ও অপরজন আফগানিস্তানের নাগরিক।
আইন কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরচক্র গঠন এবং সামরিক এলাকা সম্পর্কে স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের অভিযোগ দায়ের করেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ৩২ জন ব্যক্তির এই বিচারকে ‘প্রবলভাবে অন্যায্য’ বলে মন্তব্য করেছে।
অধিকাংশ আসামীর পক্ষে আইনি লড়াই চালানো আইনজীবী তাহা আল-হাজি অ্যামনেস্টিকে বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই তার মক্কেলদের ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আটক করার খবর অন্ততপক্ষে তিনমাস গোপন রাখা হয়।
অ্যামনেস্টির বৈরুত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সামাহ হাদিদ বলেন, “এই মামলার পুরো আইনি প্রক্রিয়াটি বিচারের নামে প্রহসন।”
গেল বছর থেকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের চরম অবনতি হতে থাকে।
প্রভাবশালী সৌদি শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলার ধারাবাহিকতায় সুন্নি মুসলিম শাসিত সৌদি আরব শিয়া মুসলিম শাসিত ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
সৌদি কর্মকর্তারা নিমরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দাবি, সৌদি সুন্নি রাজতন্ত্রের সমালোচনা করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতাধর এই দুই রাষ্ট্র সিরিয়া ও ইয়েমেন যুদ্ধে বিপরীত পক্ষগুলোকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
সৌদি আরবের ২ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।
শিক্ষা, বিচার ব্যবস্থায়, সরকারি চাকরি এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তারা প্রবলভাবে বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছেন।