টু্যইটারে একের পর এক ট্যুইটে চীনের মুদ্রা নীতি এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।
প্রশ্ন রেখে ট্রাম্প বলেন, “মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা এবং বড় ধরনের সামরিক স্থাপনা গড়ে তোলা ঠিক কি-না তা কি চীন আমাদেরকে জিজ্ঞেস করেছে? আমার মনে হয় না।”
গত সপ্তাহে ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে সরাসরি কথা বলে চীনের বিরাগভাজন হয়েছেন। এরপরও চীনের প্রতি সুর নরম করার কোনও লক্ষণ দেখালেন না তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই চীনের মুদ্রা ইউয়ানের অবমূল্যায়নের সমালোচনা করে বলে আসছে এতে করে চীন অন্যায়ভাবে রপ্তানিতে সুবিধা ভোগ করছে।
তাছাড়া, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জের ওপর চীনের মালিকানা দাবিও বন্ধ করতে বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। নজরদারি করতে ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধজাহাজও পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে, চীনের টায়ার ও লোহা জাতীয় কয়েকটি আমদানি পণ্যের ওপর সম্প্রতি শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নির্বাচন পূর্ববর্তী প্রচারণায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন চীনের সব পণ্যের ওপরই ৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি।
মার্কিন এই ধনকুবের ও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এবং পরেও চীন নিয়ে একই সুরে কথা বললেন।
গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথা ভেঙে কথা বলেন ট্রাম্প। ১৯৭৯ সালের পর আর কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এরকম করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তাইওয়ানের সঙ্গে ট্রাম্পের এ ফোনালাপকে শুভেচ্ছাবার্তা বলে এর গুরুত্ব কমানোর চেষ্টা করলেও এতে সন্তুষ্ট হয়নি চীন।
চীনের এ ক্ষোভের মাঝে ট্রাম্পের আরও তীব্র সমালোচনামূলক টু্যইটের কারণে সম্পর্কে আরও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।