হিলারিকে ভোট পুনর্গননার দাবি জানানোর আহ্বান

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও নির্বাচন বিষয়ক আইনজীবীরা হিলারি ক্লিনটন শিবিরকে দোদুল্যমান তিনটি রাজ্য উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ার ভোট পুনর্গণনার দাবি তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2016, 04:10 PM
Updated : 23 Nov 2016, 04:22 PM

সিএনএন-র খবরে বলা হয়, ওই তিন রাজ্যের ভোটের ফলে অবৈধ হস্তক্ষেপ হওয়া বা ভোট ব্যবস্থা হ্যাকারদের কবলে পড়ার কিছু প্রমাণ পেয়েছেন বলেই বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের। গত বৃহস্পতিবার হিলারির শীর্ষ সহযোগীদের কাছে তারা বিষয়টি তুলে ধরেছেন বলেও জানান।

বিশেষজ্ঞদের এ গ্রুপটিতে অনেকের মধ্যে রয়েছেন ভোটের অধিকার বিষয়ক এটর্নি জন বোনিফাজ এবং মিশিগান সেন্টার ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সিকিউরিটি অ্যান্ড সোসাইটি বিভাগের পরিচালক জে. অ্যালেক্স হ্যালডারম্যান। তারা এক কনফারেন্স কলে হিলারি শিবিরকে বিষয়টি অবহিত করেন।

অ্যালেক্স হ্যালডারম্যান হিলারি শিবিরকে বলেছেন, ওই তিন রাজ্যের যেসব কাউন্টিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনেই মূল ভোট গ্রহণের কাজ হয়েছে সেই সব জায়গায় হিলারির খুব খারাপভাবে হেরে যাওয়া প্রশ্নের জন্ম দেয় বলেই তাদের বিশ্বাস।

সিএনএন জানায়, কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা ক্লিনটনের প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যান জন পোডেস্টা এবং সাধারণ পরামর্শক মার্ক ইলিয়াসকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন হ্যাকড হওয়ার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন, ওই তিনটি রাজ্যের ইলেক্ট্রনিক মেশিনে ভোট গ্রহণ করা কাউন্টিগুলোতে হিলারি ৭ শতাংশ কম ভোট পেয়েছেন। এর পেছনে হ্যাকারদের হাত থাকতে পারে।

যদিও  হ্যাকিংয়ের কোনও প্রমাণ এখনও তারা পাননি। কিন্তু হিলারির পক্ষে এত কম ভোট পড়ার বিষয়টি বিবেচনা করা এবং স্বাধীন কমিটি দিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সিএনএন এর পক্ষ থেকে হ্যালডারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

গত ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্বনেতাদের হতবাক করে দিয়ে হিলারির মত অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে হারিয়ে ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন নিউ ইয়র্কের আবাসন ব্যাবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ভোটে কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসন থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়া অবৈধ হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল।

কিন্তু নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, রাশিয়ার পক্ষে ভোটে হস্তক্ষেপ করা কার্যত অসম্ভব।