মঙ্গোলিয়া সফরকালে রাজধানী উলানবাতরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দালাই লামা বলেন, “তিনি সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রকে মুক্ত বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশ বলেই মনে করেন।”
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু সমস্যা আছে বলেই মনে করি। সুতরাং, আমি নতুন প্রেসিডেন্টকে দেখতে যাব।” এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি দালাই লামা।
চীনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গেও গত জুনে হোয়াইট হাউজে দেখা করেছিলেন দালাই লামা। গত আট বছরে দুইজনের মধ্যে চারবার বৈঠক হয়েছে।
এবারে নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে যে উদ্বেগজনক সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তা নিয়ে দালাই লামা মোটেও কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমার কখনও কখনও মনে হয়, নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রার্থীরা বাক-স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক বেশি মুক্তভাবে তাদের চিন্তার প্রকাশ ঘটায়। কিন্তু একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে নানা দায় দায়িত্বের চাপে পড়ে তাকে বাস্তবতা মেনেই কাজ করতে হয়।”
শান্তিতে নোবেল জয়ী নেতা দালাই লামা এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বললেন।
চীন দালাই লামাকে একজন একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসাবেই দেখে এবং তাকে বিপজ্জনক বলেই মনে করে।
মঙ্গোলিয়া দালাই লামাকে সফরের সুযোগ দেওয়ায় উলানবাতরের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দালাই লামার সাক্ষাতও চীনকে আরও ক্ষেপিয়ে তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।