বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর প্রথম কোন পদক্ষেপ নেবেন সে বিষয়টি জানিয়ে সোমবার এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প টিপিপি চুক্তি বাতিলের কথা বলেন।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মসূচি ‘ওবামাকেয়ার’ বাতিল বা মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার বিষয়ে ট্রাম্পের এই ভিডিওবার্তায় কিছু বলা হয়নি। ভোটের প্রচারের দিনগুলোতে ট্রাম্পের ওই দুটি প্রতিশ্রুতি আলোচনার জন্ম দেয়।
দুই সপ্তাহ আগে বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে নির্বোচনে জিতে যান ট্রাম্প, ভোটের ফল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক শহরে বিক্ষোভও হয়।
নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্বনেতাদের মধ্যে প্রথম ট্রাম্পের সাক্ষাৎ পান জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, যার দেশ ট্রান্স-প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তিতে জোরালো সমর্থন দিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান ছাড়াও মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, কানাডা ও মেক্সিকোসহ ১২টি দেশ ২০১৫ সালে ওই চুক্তি করে, যদিও ওই চুক্তি এখনও সবগুলো দেশের অনুসমর্থন পায়নি। বিশ্বের মোট অর্থনীতির ৪০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ওই ১২ দেশের হাতে।
এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়িয়ে প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো। তবে বিরোধিতাকারীদের ভাষ্য, ওই চুক্তির সমঝোতা হয়েছে গোপনে, বড় বড় কোম্পানিকে ওই চুক্তি সুবিধা করে দেবে।
পেরুতে সম্মেলনে মিলিত হওয়া এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের নেতারা অবশ্য বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধিতার পরও তারা ওই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এগিয়ে নিতে চাইবেন।
ট্রাম্প এলে চুক্তি বাতিল হতে পারে জেনেও জাপানের পার্লামেন্ট তা অনুমোদন করেছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী আবে এখন বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে না পেলে টিপিপি চুক্তি অর্থহীন হয়ে যাবে।
ভিডিওবার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, তার সরকার পরিচালনার মূল লক্ষ্য হবে আমেরিকাকে শীর্ষে ফিরিয়ে নেওয়া।
যে ছয় নির্বাহী আদেশ আসতে পারে ট্রাম্পের প্রথম দিন
>> টিপিপি চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার নোটিস।
>> যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি উত্তোলনের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া
>> ব্যবসার ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করা
>> সাইবার হামলার বিরুদ্ধে লড়তে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশনা
>> অভিবাসীদের ভিসার অপব্যবহারের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ
>> সরকারি চাকরি ছেড়ে লবিস্ট হওয়ার ওপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন কাদের নিয়ে হবে, সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে গত সপ্তাহটি কাটিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, দারুণ সব মেধাবী আর দেশপ্রেমিক নারী ও পুরুষদের তিনি জড়ো করেছেন, আরেক কয়েকজন শিগগিরই যোগ দেবেন তাদের সঙ্গে।