জিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের মোকাবিলায় ঘোষিত আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2016, 06:54 AM
Updated : 19 Nov 2016, 08:43 AM

নয় মাস আগে জারি করা ওই ঘোষণা প্রত্যাহার করলেও জিকার প্রাদুর্ভাব বজায় থাকবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থা, খবর বিবিসির। 

বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশে জিকার প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অপূর্ণাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়। 

যার মধ্যে মাইকোসেফালি অন্যতম, যার কারণে শিশুর মাথার আকার অস্বাভাবিক ছোট হয় যা মস্তিষ্কের বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, শুধু ব্রাজিল থেকেই স্নায়ুতন্ত্রের ত্রুটির দুই হাজার ১০০টিরও বেশি ঘটনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।

প্রধানত মশাবাহিত হলেও যৌনমিলনের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে।

জিকার সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা অল্পই এবং ভাইরাসটিতে আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে মাত্র একজনের আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর, ফুসকুরি ও অস্থিঃসন্ধিতে ব্যথা থাকতে পারে।

ডব্লিউএইচও-র জিকা সংক্রান্ত জরুরি কমিটির প্রধান ড. ডেভিড হেইম্যান জানিয়েছেন, ভাইরাসটি এখনও ‘দীর্ঘমেয়াদি ও উল্লেখযোগ্য’ হুমকি হিসেবে রয়ে গেছে।

লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল ও এর বাইরে ছড়িয়ে পড়া এই সংক্রমণটি মোকাবিলায় এবার দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে ডব্লিউএইচও।

১৯৪৭ সালে উগান্ডায় বানরের মধ্যে প্রথম জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর ১৯৫৪ সালে নাইজেরিয়ার প্রথম মানব শরীরে জিকার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর থেকে আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

প্রাদুর্ভাব সীমিত হওয়ায় জিকাকে আগে কখনো মানব স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি বিবেচনা করা হয়নি। কিন্তু গত বছরের মে মাসে ব্রাজিলে এর অস্তিত্ব ধরা পড়ার পর থেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।