ডোনাল্ড ট্রাম্পে ‘অগাধ আস্থা’ শিনজো আবের

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর তার অগাধ আস্থা রয়েছে এবং তারা একটি আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন তিনি।

এস এম নাদিম মাহমুদ, জাপান থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2016, 04:44 AM
Updated : 18 Nov 2016, 10:04 AM

বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠককে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বর্ণনা করেছেন ‘উষ্ণ পরিবেশে খোলামেলা আলোচনা’ হিসেবে।

গত ৮ নভেম্বর ভোটে জিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ছিল কোনো বিশ্ব নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম বৈঠক।

বিবিসি লিখেছে, ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের কিছু রাজনৈতিক মন্তব‌্যের কারণে জাপানসহ পুরনো মিত্রদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ভবিষ‌্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলা যুক্তরাষ্ট্রই পরে জাপানের অন‌্যতম প্রধান মিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়; অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সহায়তা করে।  

ভোটের প্রচারের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, নির্বাচিত হলে তিনি ট্রান্স-প‌্যাসিফিক বাণিজ‌্য চুক্তি বাতিল করবেন। অর্থনৈতিকভাবে প্রতিবেশী চীনের ক্রমশ আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার বিষয়টি মাথায় রেখে ওই চুক্তিকে সমর্থন দিয়েছিলেন জাপানের আবে। ট্রাম্প এলে চুক্তি বাতিল হতে পারে জেনেও জাপানের পার্লামেন্ট তা অনুমোদন করেছিল।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর শিনজো আবে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, দুই দেশের মধ‌্যে আস্থার সম্পর্ক না থাকলে ভবিষ‌্যতে এই বন্ধুত্ব অটুট থাকবে না। আজকের আলোচনার পর আমি আত্মবিশ্বাসী, ট্রাম্প এমন একজন নেতা, যার ওপর আমি অগাধ আস্থা রাখতে পারি।”

বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে- তা নিয়ে খুব বেশি তথ‌্য আবে সাংবাদিকদের দেননি। তিনি বলেছেন, তারা আবারও বসতে সম্মত হয়েছেন যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কোনো প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা নেওয়ার আগে তার সঙ্গে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাতকে ‘বিরল ঘটনা’ বলেছে জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন এনএইচকে।

বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে এনএইচকে বিস্তারিত তথ‌্য দিতে না পারলেও দেশটির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বলেছে, ট্রান্স প‌্যাসিফিক পার্টনারশিপ ছাড়াও উত্তর কোরিয়া, ওকিনেয়া ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে আলোচনা হয়েছে শিনজো আবে ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ‌্যে।