ফোনালাপে পুতিন নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়নে ট্রাম্পের সাফল্য কামনা করেন।
অন্যদিকে ভোটের প্রচারের সময় পুতিনের নেতৃত্বের প্রশংসা করা ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে নিজের দেশের একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক তিনি দেখতে চান।
ক্রেমলিন বলছে, ট্রাম্প ও পুতিনের আলোচনায় সিরিয়া প্রসঙ্গও এসেছে। দুই নেতাই একমত হয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক ‘মোটেই সন্তোষজনক নয়’।
আগামী বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক যে ২১০ বছর পূর্ণ করছে, সে বিষয়টি নিয়েও কথা হয়েছে ট্রাম্প পুতিনের মধ্যে। একটি বাস্তববাদী ও পরস্পরের জন্য লাভজনক সহযোগিতামূলক সম্পর্কে গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন দুই নেতাই।
পুতিন ও ট্রাম্প নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখতে এবং পরে সুবিধাজনক সময়ে সশরীরে সাক্ষাতের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন বলে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ফোনটা কে করেছিল, ক্রেমলিন তা স্পষ্ট করেনি। তবে ট্রাম্পের অফিস জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্টের দিক থেকেই ফোন এসেছিল। দুই দেশের সামনে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ এবং কৌশলগত অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে তাদের কথা হয়েছে।
“নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলেছেন, রাশিয়া ও রাশিয়ার জনগণের সঙ্গে একটি মজবুত ও স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়ে তুলতে মুখিয়ে আছেন তিনি।”
মস্কোয় বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গ বলেন, রাশিয়ার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টকে একজন বাস্তববাদী এবং বেপরোয়া ব্যবসায়ী বলে মনে করে, যার সঙ্গে রাশিয়া ব্যবসা করতে পারে।
আট বছর আগে বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় দীর্ঘ দিনের বৈরীতা ভুলে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের কথা বললেও গত কয়েক বছরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া ও ইরানের বিষয়ে ওয়াশিংটন আর মস্কোর সুর ঠিক থাকলেও সিরিয়ার ক্ষেত্রে প্রকাশ্যেই বিবাদে জড়িয়েছে দুই দেশ।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপেরও সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার গোপন কর্মকাণ্ডের তথ্য ফাঁস করে দেশান্তরী হওয়া এডওয়ার্ড স্নোডেনকে রাশিয়া আশ্রয় দেওয়ার পরও ওয়াশিংটনের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।