ট্রাম্পকে ইউরোপ সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে: জাঙ্কার

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক ‘মেৌলিকভাবে এবং গঠনগত দিক দিয়ে’ ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে সতর্ক করেছেন ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2016, 02:50 PM
Updated : 12 Nov 2016, 02:50 PM

লুক্সেমবার্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেওয়া এক বক্তৃতায় জাঙ্কার বলেন, “ইউরোপ কী এবং কিভাবে এটা কাজ করে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে আমাদের শেখানোর প্রয়োজন পড়বে।”

এজন্য দুই বছর সময় নষ্ট হবে বলেও অনুমান করেন জাঙ্কার। বলেন, “ট্রাম্প এমন একটি বিশ্বে যাত্রা শুরু করেছেন যেটা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।”

বিশ্ব নেতাদের কিছুটা অবাক করে দিয়ে ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রিপাবলিকান ট্রাম্প।

নির্বাচনের পরদিন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে একটি যেৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জানান জাঙ্কার।

শুক্রবারের ওই বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, “সাধারণভাবে আমেরিকানদের ইউরোপ নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই...নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘বেলজিয়াম আমাদের মহাদেশের কোনো একটি গ্রাম...’।”

“তিনি এমন কিছু প্রশ্ন তুলেছেন যেটা পরিস্থিতিকে বিপদজনক করে তুলতে পারে। কারণ তিনি ট্রান্স-আটলান্টিক জোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শরণার্থী ও শেতাঙ্গ নন এমন আমেরিকানদের নিয়ে তার নিজস্ব একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে এবং সেটা কোনো ভাবেই ইউরোপের বিশ্বাস ও অনুভূতিকে প্রতিফলিত করে না।”  

নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প নেটোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পশ্চিম ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি নেটো।

রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বলার কারণেও ইইউ জোটে ট্রাম্প সমালোচিত।

ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিনের মধ্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাতিলের যে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প দিয়েছেন সেটাও ইইউ-র জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইইউ ভূক্ত দেশগুলোর নেতারা ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তবে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল শুভেচ্ছা বার্তার মধ্যে জোর দিয়ে এটাও বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি জাত্মাভিমান, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, যেৌন প্রবৃত্তি বা রাজনৈতিক বিশ্বাস নয় বরং গণতান্ত্রিক মূল্যাবোধ, স্বাধীনতা, আইনের প্রতি সম্মান এবং মানুষের মর্যাদার বিষয়গুলো পরষ্পরের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে।”