ট্রাম্পকে অনায়াসে হারাতেন স‌্যান্ডার্স?

হিলারি ক্লিনটনকে না করে যদি বার্নি স‌্যান্ডার্সকে ডেমোক্রেটরা প্রার্থী করত, তাহলে তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনায়াসে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2016, 04:03 AM
Updated : 12 Nov 2016, 08:27 AM

গত সপ্তাহের ভোটের দুদিন আগে চালানো এক জরিপে এই চিত্র পাওয়া গেছে বলে হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে জনমত জরিপগুলো হিলারির পক্ষেই বলছিল, কিন্তু তা উল্টে দিয়ে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে স্পষ্ট সংখ‌্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই জয়ী হন নানা মন্তব‌্যের জন‌্য বিতর্কিত ট্রাম্প।

ডেমোক্রেটদের মনোনয়ন দৌড়ে হিলারির সঙ্গে নেমেছিলেন ভারমন্টের সিনেটর স‌্যান্ডার্সও। কিন্তু দলের প্রতিনিধিদের পর্যাপ্ত সমর্থন না পেয়ে হার মানতে হয়েছিল নীতির দিক থেকে বামঘেঁষা এই রাজনীতিককে।

হাফিংটন পোস্ট যে জনমত জরিপের উপর ভিত্তি করে স‌্যান্ডার্সের জয়ের সম্ভাবনার কথা বলছে, তা চালিয়েছে গ্রাভিস মার্কেটিং। এতে সম্পৃক্ত ছিলেন ডেমোক্রেট কংগ্রেস সদস‌্য অ‌্যালান গ্রেসন। দলে তিনি স‌্যান্ডার্সের পক্ষে ছিলেন।

এই জনমত জরিপে মূলত দল নিরপেক্ষ ভোটারদের মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে। জরিপ বলছে, স‌্যান্ডার্স প্রার্থী হলে ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হতেন, বিপরীতে ট্রাম্প পেতেন ৪৪ শতাংশ ভোট।

ভোটের ফলাফলের তুলনা দেখিয়ে গ্রাভিস মার্কেটিং বলছে, দল নিরপেক্ষ ভোটারদের ৪২ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন হিলারি। অন‌্যদিকে ৪৮ শতাংশের সমর্থন নিয়ে জয় ঘরে তুলেছেন ধনকুবের ট্রাম্প।

কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ অর্থনীতিকে সুসংহত করার উপর জোর দেওয়া স‌্যান্ডার্স ভোটে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারির হারের পর দলের সমালোচনাও করেছিলেন।

ভোটকেন্দ্রে বার্নি স‌্যান্ডার্স

তিনি বলেছিলেন, “এটা বিব্রতকর। এটা স্পষ্ট, কর্মজীবী লাখ লাখ শ্বেতাঙ্গ ভোট দিয়েছে ট্রাম্পকে। এটা এই বার্তা দিচ্ছে যে দেশের খেটে খাওয়া মানুষদের মধ‌্যে আমাদের অবস্থান আর মজবুত নয়।”

এবার না হলেও পরের বার প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নাকচ করছেন না ৭৫ বছর বয়সী স‌্যান্ডার্স।

“চার বছর অনেক সময়। আমি কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না,” সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।

তবে স‌্যান্ডার্সে মনোযোগ এখন কেন্দ্রীভূত ২০১৮ সালে সিনেট নির্বাচনে তার ভারমন্টের আসনটি ধরে রাখার দিকে। পরের কথা আরও পরে ভাববেন তিনি।