ট্রাম্পের জয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার দাবি

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার আলাদা হওয়ার দাবি তুলেছেন স্টেটের বাসিন্দারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2016, 09:08 PM
Updated : 10 Nov 2016, 09:58 AM

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ‘ব্রেক্সিট’ অনুসরণে ‘ক্যালেক্সিট’র দাবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সোস্যাল মিডিয়ায়।

মঙ্গলবার রাতে ভোটের ফল প্রকাশের পর ‘ক্যালেক্সিট’ টুইটারে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়ায় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোটের ক্যালিফোর্নিয়ায় জয় পেয়েছেন ট্রাম্পের কাছে পরাজিত ডেমোক্রেট পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।

টুইটারে ক্যালিফোর্নিয়ার বিচ্ছিন্নতার দাবি তোলার পাশাপাশি স্টেট রাজধানী স্যাক্রোমেন্টেতে সমাবেশেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের জনমত জরিপকে ভুল প্রমাণিত করে ট্রাম্পের জয়ের বেশ আগেই মেক্সিকো সীমান্তবর্তী রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার আলাদা হওয়ার দাবিতে প্রচার চালিয়ে আসছিল ‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স’ নামের একটি গ্রুপ। ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতা বিষয়ে ২০১৯ সালে গণভোট আয়োজনের লক্ষ্য তাদের।

এই প্রচারণা এরইমধ্যে অনেকের সমর্থন পেয়েছে। শেরভিন পিশেভার নামে একজন ব্যবসায়ী আগেই টুইটারে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ট্রাম্প জিতলে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারে পৃষ্ঠপোষকতা করবেন তিনি।

বুধবার সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অবস্থানে অবিচল থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের জন্য আমি যা করতে পারি তার মধ্যে এটাই সর্বোত্তম। দেশ এখন বাঁক বদলের এক ক্ষণে।”

‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স’ প্রচারণার মূল ব্যক্তি লুই ম্যারিনেলি ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল পার্টির সাবেক অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান।

ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার লক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে ভোট অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে ২০১৫ সালে সাতটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যার প্রতিটির জন্য ২০০ ডলার খরচ করেন তিনি।

গত জুনে যুক্তরাজ্যে গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় আসার পর এই আন্দোলন নতুন গতি পেয়েছিল।