ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া ‘ব্রেক্সিট’ অনুসরণে ‘ক্যালেক্সিট’র দাবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সোস্যাল মিডিয়ায়।
মঙ্গলবার রাতে ভোটের ফল প্রকাশের পর ‘ক্যালেক্সিট’ টুইটারে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়ায় বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোটের ক্যালিফোর্নিয়ায় জয় পেয়েছেন ট্রাম্পের কাছে পরাজিত ডেমোক্রেট পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।
টুইটারে ক্যালিফোর্নিয়ার বিচ্ছিন্নতার দাবি তোলার পাশাপাশি স্টেট রাজধানী স্যাক্রোমেন্টেতে সমাবেশেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
এই প্রচারণা এরইমধ্যে অনেকের সমর্থন পেয়েছে। শেরভিন পিশেভার নামে একজন ব্যবসায়ী আগেই টুইটারে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ট্রাম্প জিতলে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারে পৃষ্ঠপোষকতা করবেন তিনি।
বুধবার সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অবস্থানে অবিচল থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের জন্য আমি যা করতে পারি তার মধ্যে এটাই সর্বোত্তম। দেশ এখন বাঁক বদলের এক ক্ষণে।”
‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স’ প্রচারণার মূল ব্যক্তি লুই ম্যারিনেলি ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল পার্টির সাবেক অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান।
গত জুনে যুক্তরাজ্যে গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় আসার পর এই আন্দোলন নতুন গতি পেয়েছিল।