ভোটের দুদিন আগে এফবিআই বলল হিলারি ‘নির্দোষ’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র দুদিন বাকি থাকতে হিলারি ক্লিনটনের বহুল আলোচিত নতুন ইমেইলগুলোর মধ্যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2016, 09:29 PM
Updated : 7 Nov 2016, 03:14 AM

কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি রোববার লেখা এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কমির এক চিঠির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই চিঠিতে কমি বলেছেন, সংস্থাটি পর্যালোচনা শেষে আগের অবস্থান পরিবর্তন করার মতো কোনো কিছু পায়নি।

এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কমির চিঠি

এর আগে জুলাইতে এফবিআই পরিচালক বলেন, মিসেস ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় নিজের ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভারে স্পর্শকাতর জিনিসপত্র রাখার ক্ষেত্রে অসতর্ক থাকলেও তিনি কোনো অপরাধ করেনি।

আরও নতুন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ইমেইল আবিষ্কারের পর বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে।

ওগুলো অ্যান্থনি ওয়েইনারের ল্যাপটপে পাওয়া গিয়েছিল বলে বলা হচ্ছিল, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেট পার্টির প্রার্থী ক্লিনটনের ঘনিষ্ট এক পরামর্শকের সাবেক স্বামী।

কংগ্রেসের কাছে দেওয়া চিঠিতে বলেন কমি, “আমাদের পর্যালোচনার পর, সেক্রেটারি ক্লিনটনের বিষয়ে জুলাইয়ে আমরা যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম, তার পরিবর্তন হয়নি।”

ক্লিনটনের ইমেইলের বিষয়ে এফবিআইয়ের তদন্ত নতুন করে আবার শুরুর কথা জানিয়ে গত মাসের শেষ দিকে আইনপ্রণেতাদের কাছে লেখা কমির মূল চিঠিটি হোয়াইট হাউজ দখলের লড়াইকে টালমাটাল করে দেয়। এর ফলে জনমত জরিপে হিলারির চেয়ে পিছিয়ে থাকা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়াইয়ে টিকে থাকার নতুন রসদ হাতে পান।

এফবিআই পরিচালক তখন বলেছিলেন, নতুন আবিষ্কৃত এসব বার্তার মধ্যে কোনো গোপনীয় তথ্য আছে কি না তা তদন্ত করে দেখবে সংস্থাটি।

তদন্ত শেষের কথা জানিয়ে রোববার লেখা চিঠিতে কমি বলেন, “অসম্পর্কিত একটি অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে একটি যন্ত্র থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ ইমেইলগুলো গোছানোর পর তা মূল্যায়নের জন্য এফবিআই তদন্ত দল নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে গেছে।

“এই প্রক্রিয়া চলাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারি ক্লিনটনের আদানপ্রদান করা সমস্ত ইমেইল আমরা খুঁটিয়ে দেখেছি।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ইমেইল-আচার নিয়ে তদন্ত আপাতত শেষ করেছে এফবিআই।

চিঠিতে কমি বলেন, “সংক্ষিপ্ত সময়ে উচ্চ মানের বিশাল কাজ শেষ করায় আমি এফবিআইয়ের পেশাজীবীদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।” 

এই খবরের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় থাকা ক্লিনটনের জনসংযোগ পরিচালক জেনিফার পালমিয়েরি সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।”

তবে এই খবর বের হওয়ার পরও ট্রাম্প মিনেপলিসের সমাবেশে বিষয়টির উল্লেখ না করে ক্লিনটনকে নিয়ে যথারীতি তার ধরাবাঁধা বক্তব্য দেন।

“হিলারি ক্লিনটন অনেক লম্বা সময় ধরে তদন্তের মুখে থাকবে,” বলেন ট্রাম্প। আর সঙ্গে সঙ্গে সামনে থেকে সমবেত স্লোগান উঠে,‘তাকে জেলে ভরো’।