কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি রোববার লেখা এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কমির এক চিঠির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে কমি বলেছেন, সংস্থাটি পর্যালোচনা শেষে আগের অবস্থান পরিবর্তন করার মতো কোনো কিছু পায়নি।
আরও নতুন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ইমেইল আবিষ্কারের পর বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে।
ওগুলো অ্যান্থনি ওয়েইনারের ল্যাপটপে পাওয়া গিয়েছিল বলে বলা হচ্ছিল, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেট পার্টির প্রার্থী ক্লিনটনের ঘনিষ্ট এক পরামর্শকের সাবেক স্বামী।
ক্লিনটনের ইমেইলের বিষয়ে এফবিআইয়ের তদন্ত নতুন করে আবার শুরুর কথা জানিয়ে গত মাসের শেষ দিকে আইনপ্রণেতাদের কাছে লেখা কমির মূল চিঠিটি হোয়াইট হাউজ দখলের লড়াইকে টালমাটাল করে দেয়। এর ফলে জনমত জরিপে হিলারির চেয়ে পিছিয়ে থাকা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়াইয়ে টিকে থাকার নতুন রসদ হাতে পান।
তদন্ত শেষের কথা জানিয়ে রোববার লেখা চিঠিতে কমি বলেন, “অসম্পর্কিত একটি অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে একটি যন্ত্র থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ ইমেইলগুলো গোছানোর পর তা মূল্যায়নের জন্য এফবিআই তদন্ত দল নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ইমেইল-আচার নিয়ে তদন্ত আপাতত শেষ করেছে এফবিআই।
চিঠিতে কমি বলেন, “সংক্ষিপ্ত সময়ে উচ্চ মানের বিশাল কাজ শেষ করায় আমি এফবিআইয়ের পেশাজীবীদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।”
তবে এই খবর বের হওয়ার পরও ট্রাম্প মিনেপলিসের সমাবেশে বিষয়টির উল্লেখ না করে ক্লিনটনকে নিয়ে যথারীতি তার ধরাবাঁধা বক্তব্য দেন।
“হিলারি ক্লিনটন অনেক লম্বা সময় ধরে তদন্তের মুখে থাকবে,” বলেন ট্রাম্প। আর সঙ্গে সঙ্গে সামনে থেকে সমবেত স্লোগান উঠে,‘তাকে জেলে ভরো’।