ভোটের মাঠে ট্রাম্পের স্ত্রী-কন্যা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট চাইতে নেমেছেন তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ও মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2016, 09:55 PM
Updated : 3 Nov 2016, 10:58 PM

বৃহস্পতিবার পেনসিলভেনিয়ায় প্রথম কোনো নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেন মেলানিয়া। এদিকে প্রথমবারের মতো এদিন নিউ হ্যাম্পশায়ারে বাবার পক্ষে ভোট চাইতে যান ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা।

এরইমধ্যে  জনপ্রিয় হয়ে ওঠা নারী ব্যবসায়ী ইভাঙ্কা নারীদের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

“নারীদের বিষয় হচ্ছে চাকরি, নারীদের জন্য‌ গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা। নারীদের বিষয়গুলোই এখন এদেশের ওপর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব রাখছে।”

এদিকে মেলানিয়া বলেছেন, তার স্বামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আমেরিকার হারানো ভাবমূর্তি আবার ফিরিয়ে আনবেন।

“আমেরিকাকে আবার ‘মহান’ করে তুলবেন।”

ট্রাম্পের সঙ্গে মেয়ে ইভাঙ্কা

মেলানিয়া বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি আমেরিকাকে নিরাপদ করবেন। তিনি আমেরিকাকে সমৃদ্ধ করবেন। তিনি আমেরিকাকে মর্যাদাবান করবেন।”

ভোটে জয়ের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “৮ নভেম্বর আমরা অবশ্যই জিতব। এবং আমেরিকান হিসেবে আমরা একত্রিত হব। মতভিন্নতা থাকলেও আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করব।

“তিনি প্রেসিডেন্ট হলে সব আমেরিকানকে সহায়তায় আমার স্বামীর উদ্যোগ এগিয়ে নিতে আমি থাকব।”

বারউইনে এই সমাবেশে মেলানিয়া বলেন, তার স্বামী এমন একটি আন্দোলন গড়ে তুলেছেন, যা সবার মধ্যে ‘অংশগ্রহণমূলক, অনুপ্রাণিত ও সম্পৃক্ততার’ বোধ তৈরি করেছে।

সমাবেশে মেলানিয়া ট্রাম্প

স্বামীকে একজন আদর্শ প্রার্থী হিসেবে চিত্রায়িত করেন মডেল থেকে ধনকুবেরের স্ত্রী হওয়া মেলানিয়া: যখন কোনো কারখানা বন্ধ হয়ে যায় তখন ‘খুব বিচলিত’ হয়ে পড়েন, আবার প্রতি সকালে যখন অভিভাবকদের কাজের জন্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াতে দেখেন তখন ‘হতাশ’ হয়ে পড়েন।

“তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দারুণ প্রেসিডেন্ট হবেন।”

ফার্স্ট লেডি হলে শিশুদের উৎপীড়ন ও অনলাইন ‘ট্রলিং’ বন্ধে উদ্যোগ নেবেন মেলানিয়া।

শিশুদের অনলাইনে উত্ত্যক্ত, উপহাস ও আক্রমণ ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ‌্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন বলে জানান মেলানিয়া।

মা হিসেবে ১০ বছরের ছেলে ব্যারনের সঙ্গে সব সময় থাকার কথা জানান তিনি। ছোট্ট এই ছেলের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয় বলেও তিনি জানান।

“আমি চাই, আমার ছোট্ট ছেলে জানুক যে, সে এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করেছে যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে মূল্য দেওয়া হয়।”

স্লোভেনিয়ার একটি ছোট শহরে বেড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে ১০ বছরের প্রক্রিয়ার মধ্য  দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভের কথা উল্লেখ করেন মেলানিয়া।

স্ত্রী ভাষণ দেখার এই ছবি টুইট করেন ট্রাম্প

কমিউনিস্ট শাসিত দেশে বেড়ে উঠলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের ‘মর্নিং ইন আমেরিকা’ ভাষণ শুনে এদেশের প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়ার কথা জানান তিনি।

মেলানিয়া বলেন, “আমরা কী ধরনের দেশ চাই? সুরক্ষিত সীমান্তের একটি নিরাপদ দেশ আমরা চাই না? আমরা কি এমন একটি দেশ চাই না, যেখানে সবাই ন্যায়বিচার পাবে?”

“হ্যা !,” সমস্বরে বলে ওঠে জনতা।

প্রশ্নোত্তরের ঢংয়ে বক্তব্য চালিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি দেশ চাই না যেখানে আমাদের সংবিধানের প্রতি সম্মান জানানো হবে?”

“তিনি দেশকে ভালোবাসেন এবং জানেন কীভাবে কাজগুলো করতে হয়।... তিনি জানেন কীভাবে সত্যিকার পরিবর্তন আনতে হয়,” ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বলেন স্ত্রী মেলানিয়া।

মাত্র চার দিন পরের এই ভোট সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ট্রাম্প ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। দুজনই এদিন নর্থ ক্যারোলিনায় প্রচারে নামেন।