বৃহস্পতিবার পেনসিলভেনিয়ায় প্রথম কোনো নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেন মেলানিয়া। এদিকে প্রথমবারের মতো এদিন নিউ হ্যাম্পশায়ারে বাবার পক্ষে ভোট চাইতে যান ট্রাম্পের বড় মেয়ে ইভাঙ্কা।
এরইমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা নারী ব্যবসায়ী ইভাঙ্কা নারীদের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
“নারীদের বিষয় হচ্ছে চাকরি, নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা। নারীদের বিষয়গুলোই এখন এদেশের ওপর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব রাখছে।”
এদিকে মেলানিয়া বলেছেন, তার স্বামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আমেরিকার হারানো ভাবমূর্তি আবার ফিরিয়ে আনবেন।
“আমেরিকাকে আবার ‘মহান’ করে তুলবেন।”
ভোটে জয়ের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “৮ নভেম্বর আমরা অবশ্যই জিতব। এবং আমেরিকান হিসেবে আমরা একত্রিত হব। মতভিন্নতা থাকলেও আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করব।
“তিনি প্রেসিডেন্ট হলে সব আমেরিকানকে সহায়তায় আমার স্বামীর উদ্যোগ এগিয়ে নিতে আমি থাকব।”
বারউইনে এই সমাবেশে মেলানিয়া বলেন, তার স্বামী এমন একটি আন্দোলন গড়ে তুলেছেন, যা সবার মধ্যে ‘অংশগ্রহণমূলক, অনুপ্রাণিত ও সম্পৃক্ততার’ বোধ তৈরি করেছে।
“তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দারুণ প্রেসিডেন্ট হবেন।”
ফার্স্ট লেডি হলে শিশুদের উৎপীড়ন ও অনলাইন ‘ট্রলিং’ বন্ধে উদ্যোগ নেবেন মেলানিয়া।
শিশুদের অনলাইনে উত্ত্যক্ত, উপহাস ও আক্রমণ ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন বলে জানান মেলানিয়া।
মা হিসেবে ১০ বছরের ছেলে ব্যারনের সঙ্গে সব সময় থাকার কথা জানান তিনি। ছোট্ট এই ছেলের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয় বলেও তিনি জানান।
“আমি চাই, আমার ছোট্ট ছেলে জানুক যে, সে এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করেছে যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে মূল্য দেওয়া হয়।”
স্লোভেনিয়ার একটি ছোট শহরে বেড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে ১০ বছরের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভের কথা উল্লেখ করেন মেলানিয়া।
মেলানিয়া বলেন, “আমরা কী ধরনের দেশ চাই? সুরক্ষিত সীমান্তের একটি নিরাপদ দেশ আমরা চাই না? আমরা কি এমন একটি দেশ চাই না, যেখানে সবাই ন্যায়বিচার পাবে?”
“হ্যা !,” সমস্বরে বলে ওঠে জনতা।
প্রশ্নোত্তরের ঢংয়ে বক্তব্য চালিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি দেশ চাই না যেখানে আমাদের সংবিধানের প্রতি সম্মান জানানো হবে?”
“তিনি দেশকে ভালোবাসেন এবং জানেন কীভাবে কাজগুলো করতে হয়।... তিনি জানেন কীভাবে সত্যিকার পরিবর্তন আনতে হয়,” ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বলেন স্ত্রী মেলানিয়া।
মাত্র চার দিন পরের এই ভোট সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ট্রাম্প ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। দুজনই এদিন নর্থ ক্যারোলিনায় প্রচারে নামেন।