বিবিসি বলছে, দেশটিতে আইএস জঙ্গিদের সর্বশেষ এই নগরঘাঁটি উদ্ধারে চূড়ান্ত অভিযান চালানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইরাকি বাহিনী।
যোদ্ধার পোশাক পরিহিত অবস্থায় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাদের কোনো উপায় নেই। হয় তারা আত্মসমর্পণ করবে নয়তো মারা পড়বে।”
ইরাকি বিশেষ বাহিনী বর্তমানে মসুল শহরের পূর্বাংশের প্রবেশপথ থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তারা শহরটিতে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জানা গেছে, দক্ষিণ দিক থেকেও সামরিক বাহিনীর অন্য ইউনিট শহরটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আইএসের অপর নাম ব্যবহার করে আল-আবাদি বলেন, “আমরা সবদিক থেকে দায়েশের খুব কাছে চলে এসেছি এবং আল্লার ইচ্ছায় আমরা এই সাপের মাথা কর্তন করতে সক্ষম হবো। তারে বের হওয়ার কিংবা পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
আল-আবাদি পদাধিকার বলে ইরাকি সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
সোমবার ইরাকি সামরিক বাহিনী মসুলের পূর্ব, উত্তর এবং দক্ষিণাংশের বেশ কিছু গ্রাম পুনরুদ্ধার করেছে বলে দেশটির সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে।
তবে ঠিক কখন মুসলে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য, কুর্দি পেশমেরগা যোদ্ধা, সুন্নি আরব আদিবাসী এবং শিয়া আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। প্রায় দুই সপ্তা আগে মসুল উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়।
২০১৪ সালের জুনে আইএস জঙ্গিরা মসুল দখল করে। তাদের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি এই শহরটির একটি মসজিদ থেকে ওই অঞ্চলে ‘খিলাফত’ বা ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
১৭ অক্টোবর ইরাকি বাহিনী অভিযান শুরুর আগে ১৫ লাখ অধিবাসীর শহরটিতে ৩ থেকে ৫ হাজার আইএস জঙ্গি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল।