হিলারির ইমেইলকাণ্ড ফের তদন্ত গোপনের পরামর্শ উপেক্ষিত

হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কাণ্ড নিয়ে নতুন করে শুরু হওয়া তদন্তের বিষয়ে কোনও তথ্য কংগ্রেসকে না জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এফবিআইকে পরামর্শ দিলেও তা মানা হয়নি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2016, 02:43 PM
Updated : 30 Oct 2016, 06:18 PM

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা বলেছেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ  ঘটাতে পারে এমন কোনো উদ্যোগ  এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে যে আইন প্রচলিত আছে তার সঙ্গে এফবিআই’র ফের তদন্তের এই পদক্ষেপ সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন আগে শুক্রবার এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কমি দেশটির কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতাদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে হিলারির ই-মেইলকাণ্ড নিয়ে নতুন করে তদন্তের কথা জানান।

এফবিআই-র এই পদক্ষেপকে ‘নজিরবিহীন’ এবং ‘খুব সমস্যার’ বলে সমালোচনা করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি।

ফ্লোরিডায় সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এটি শুধু অদ্ভূতই নয়, নজিরবিহীনও বটে। সেই সঙ্গে এটা খুব সমস্যারও। কারণ ভোটাররা এ বিষয়ে পূর্ণ ও চূড়ান্ত তথ্য জানার অধিকার রাখে।

“তাই আমরা পরিচালক কমিকে সব কিছু সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করার এবং জনসম্মুখে প্রকাশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

ডেমোক্রেটিক দলের শীর্ষ কয়েকজন সিনেটর কমি এবং অ্যাটর্নি জেনারেল লরেত্তা লিঞ্চের কাছে এক চিঠিতে সোমবারের মধ্যে হিলারির ইমেইল নিয়ে নতুন করে তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন আগে হিলারির ইমেইল নিয়ে নতুন করে আবার তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন কমি।

হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এফবিআই-র এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ‘কারচুপির মাধ্যমে’ ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে রক্ষা করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, “জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট হিলারি ক্লিনটনের অপরাধ কর্মকাণ্ড আড়াল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে নিউ ইয়র্কের বাড়ি থেকে নিজের ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ইমেইল চালাচালি করেছিলেন হিলারি।

যার পরিপ্রেক্ষিতে হিলারির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে এবং গত এক বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই।

এ বছর জুলাইয়ে এফবিআই হিলারির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করে।

ওই সময় এফবিআই এর পরিচালক জেমস কমি বলেন, রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য চালাচালিতে ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে হিলারি নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।

তবে এজন্য হিলারির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

নতুন তদন্তেও একই ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী হিলারি।