পাক সরকারের বিরুদ্ধে গৃহবন্দিত্বের অভিযোগ ইমরান খানের

পাকিস্তানের বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে তাকে ‘কর্যত গৃহবন্দি করে রাখার’ অভিযোগ করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2016, 04:48 PM
Updated : 28 Oct 2016, 04:48 PM

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ‘পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য’ ২ নভেম্বর (বুধবার) রাজধানী ইসলামাবাদ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইমরান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এর পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খানের বাড়ি ঘিরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদে সব ধরনের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ওই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডির কাছে ইমরান সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ শুরু করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিপেটা করে।

ইসলামাবাদ থেকে রাওয়ালপিন্ডির দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। এদিন ইসলামাবাদে ইমরানের বাড়ির কাছেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

শুক্রবার নিজের বাসভবনের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের ইমরান বলেন, “আমার বাড়ির পাশে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করে কার্যত আমাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।”

শুক্রবারের সংঘর্ষের পর মিত্র একটি রাজনৈতিক দলের মিছিলে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন ইমরান।

দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমার কর্মীরা, আপনারা ২ নভেম্বরের জন্য প্রস্তুত হন। ওই দিনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে আপনাদের অবশ্যই গ্রেপ্তার এড়াতে হবে।”

ইমরানের এই আহ্বানের পর শনিবার ইসলামাবাদে পিটিআই এর পক্ষ থেকে মিছিল আয়োজনের যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা বাতিল করার হতে পারে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন দলের এক কর্মী।

বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে ইন্দোর ইয়ুথ র‌্যালিতে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং পিটিআই এর ৩৮ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

এর প্রতিবাদে শুক্রবার দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেন ইমরান। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন বৃহস্পতিবারই ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে সব ধরণের জনসমাবেশ ও মিছিল আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডির প্রধান সড়কগুলো পুলিশ বন্ধ করে দেয়।

ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার মুশতাক আহমেদ রয়টার্সকে বলেন, যেকোনও ধরনের আনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) নিতে হবে।

তিনি বলেন, “যেকোনও কিছুর জন্যই আপনাকে এনওসি নিতে হবে, হোক তা গণমাধ্যমের অনুষ্ঠান বা বিয়ের আয়োজন। এমনকি জন্মদিনের অনুষ্ঠান যেখানে পাঁচজনের বেশি মানুষ জড় হবে সেটির জন্যও এনওসি নিতে হবে।”

বুধবার ইসলামাবাদ অবরোধে প্রায় ১০ লাখ মানুষ অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।