নিউ ইয়র্ক টাইমস এর খবরে বলা হয়, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলের একটি মহাসড়কে পুলিশ চেকপোস্টের কাছে ডতু সৌদি-আমপাটুয়েন শহরের মেয়র সামসুদ্দিন দিমাউকম ও আরও নয়জনকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।
পুলিশ এ ঘটনাকে মাদক বিরোধী অভিযান বলে বর্ণনা করেছে।
পুলিশের দাবি, সামসুদ্দিনের রক্ষীবাহিনী পুলিশের দিকে গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
কয়েকমাস আগে দক্ষিণের মাগুইনদানাও প্রদেশের ছোট্ট দ্বীপ শহর ডতু সৌদি-আমপাটুয়েনের মেয়র সামসুদ্দিন মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট দোতার্তে। কিন্তু তার এ অভিযোগে ভীত কিংবা উদ্বিগ্ন নন বলে জানিয়েছিলেন সামসুদ্দিন।
অগাস্টে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, “যদি আপনি অপরাধ না করেন তবে আপনি কেন ভয় পাবেন?”
৩০ জুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন দোতার্তে।
তিনি প্রশাসনকে মাদক পাচারকারীদের ‘দেখামাত্র গুলির’ অনুমতি দেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, তারপর থেকে দেশটিতে বিচার বহির্ভূতভাবে প্রায় দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব এবং অনেক মানবাধিকার সংগঠন দোতার্তের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করছে।
কিন্তু ফিলিপিন্সের জনগণের কাছে মাদক নির্মূলে এই ব্যবস্থা ‘ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে’ বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছে, সন্দেহভাজন অপরাধীদের হত্যা করায় দেশটির সড়কগুলো অনেক নিরাপদ হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র প্রধান পরিদর্শক ইলিয়াস কলনিয়া বলেন, সামসুদ্দিন ও তার দল সড়ক পথে মাদকের একটি চালান নিয়ে যাবেন বলে খবর পেয়েছিল প্রশাসন।
“ওই খবরের ভিত্তিতে মাকিলালা শহরের পাশের মহাসড়কে পুলিশ তল্লাশিচৌকি বসায়। শুক্রবার ভোট ৪টার দিকে সামসুদ্দিন তার দল নিয়ে সড়ক পথটি অতিক্রম করছিল।”
“তাদের কাছে ভারী অস্ত্র ছিল এবং তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলিতে ১০ ব্যক্তি জখম হয়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।”
এ ঘটনায় পুলিশের কেউ আহত হয়নি বলেও জানান তিনি।