যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ প্রচেষ্টায় বিশ্বাসী অধিকাংশ রিপাবলিকান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলে মনে করে বেশিরভাগ রিপাকলিকানের এমনটিই বিশ্বাস বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।

>>রয়টার্স
Published : 28 Oct 2016, 02:27 PM
Updated : 29 Oct 2016, 08:37 AM

১৮ থেকে ২৪ অক্টোবর রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মনে করে রাশিয়া ৮ নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

দেখা গেছে, ডেমোক্রেটিকে পার্টির প্রাপ্তবয়স্ক সমর্থকদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৫১ শতাংশ এমনটি মনে করেন।

এছাড়া, আমেরিকার বেশিরভাগ ভোটার মনে করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। জরিপে দেখা গেছে, এসব ভোটরের ৬২ শতাংশ ডেমোক্র্যাট এবং ৪৮ শতাংশ রিপাবলিকান।

সম্প্রতি ডেমক্রেটিক দলের ইমেইল হ্যাক হওয়ার পেছনেও মস্কোর হাত রয়েছে বলে ধারণা জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭১ শতাংশ মার্কিন ভোটারের।

মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং  হিলারি ক্লিন্টনের গুরুত্বপূর্ণ নথি অনলাইনে প্রকাশ করে হ্যাকাররা।

‘হ্যাকাররা রুশ’ বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তার। রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

যেসব মার্কিনি মনে করেন রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইছে তাদের ৫৭ শতাংশ অবশ্য বিশ্বাস করে, ডেমক্রেটিক দলের ইমেইল হ্যাকের পেছনে রাশিয়ার হাত থাকলেও এ বিষয়ে ট্রাম্প ‘কোনোভাবে জড়িত নন’।

এর আগে হিলারি বলেছিলেন, তার বিশ্বাস রাশিয়া ট্রাম্পকে নির্বাচনে জিততে সহায়তা করছে এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ প্রার্থী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘হাতের পুতুল’।

ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, দেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু তিনি করছেন না।

ট্রাম্পকে ‘খুবই বুদ্ধিমান’ বলে বর্ণনা করেছেন পুতিন।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি পুতিনের ঘনিষ্ঠ নন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চাইতে পুতিন শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেইন ও সিরিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বর্তমানে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে।

রাশিয়ার প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা প্রকাশ্যেই বলেছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে দুই দেশের সম্পর্ক আবারও উষ্ণ হবে।