রাশিয়ার সীমান্তের কাছে শক্তি বৃদ্ধি করছে নেটো

ঠাণ্ডা লড়াইয়ের অবসানের পর রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ গড়ে তুলছে নেটো সামরিক জোট।

>>রয়টার্স
Published : 27 Oct 2016, 09:55 AM
Updated : 27 Oct 2016, 10:01 AM

বুধবার যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, আগামী বছর রোমানিয়ায় যুদ্ধবিমান পাঠাবে তারা। পাশাপাশি পোল্যান্ডে সেনা, ট্যাঙ্ক ও কামান মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে নেটোর সদর দপ্তরে মিত্রদেশগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এক বৈঠকে জার্মানি, কানাডা ও নেটোর অন্যান্য মিত্রও সেনা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

নেটোর মহাসচিব ইয়ন্স স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছেন, জোটের ধারণা রাশিয়ার প্রায় তিন লাখ ৩৩ হাজার সেনা মস্কোর কাছে রাশিয়ার পশ্চিমা প্রান্তে মোতায়েন করা হয়েছে, তার জবাবে বাল্টিক ও পূর্ব ইউরোপে নতুন চার হাজার সেনার শক্তিশালী একটি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

রাশিয়া ইউক্রেইনের বিদ্রোহীদের ধারাবাহিকভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “শুধু এই চলতি মাসেই রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ইসকান্দের ক্ষেপণাস্ত্র কালিনিনগ্রাদে মোতায়েন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি মতো সমৃদ্ধ প্লুটোনিয়াম নিয়ে চুক্তি স্থগিত করেছে।”

রাশিয়ার ইসকান্দের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডসহ বাল্টিক অঞ্চলের যে কোনো দেশে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে রাশিয়া ইসকান্দের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পাশাপাশি পারমাণবিক ওয়ারহেড কালিনিনগ্রাদে পাঠিয়েছে কিনা তা জানাতে রাজী হননি নেটো কর্মকর্তারা।

রাশিয়ার ইসকান্দের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। রয়টার্স

আগামী বছরের মধ্যে চারটি ব্যাটল গ্রুপের এই চার হাজার সেনাকে পূর্ব ইউরোপে মোতায়েন করার পরিকল্পনা করেছে নেটো। প্রয়োজন হলে তাদের সমর্থন দিবে ৪০ হাজার সেনার শক্তিশালী একটি র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স।

বুধবার ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র সমৃদ্ধ রাশিয়ার দুটি যুদ্ধজাহাজ সুইডেন ও ডেনমার্কের মধ্যবর্তী বাল্টিক সাগর প্রবেশ করে, এতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।  

মাদ্রিদ থেকে স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্পেনের উত্তর আফ্রিকার ছিটমহল সেউতা থেকে তাদের তিনটি যুদ্ধজাহাজকে জ্বালানি দেয়ার একটি অনুরোধ রাশিয়া প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

রাশিয়ার এসব যুদ্ধজাহাজকে সিরিয়ার বেসামরিকদের ওপর হামলার কাজে ব্যবহার করা হতে পারে, এমন মন্তব্যের মাধ্যমে নেটো জোট সতর্ক করার পর স্পেন এ কথা জানালো।   

কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, এই তিনটি জাহাজ রাশিয়ার একমাত্র বিমানবাহী রণতরী অ্যাডমিরাল কুজনেৎসভসহ আটটি যুদ্ধজাহাজের একটি বহরের অংশ, এগুলো সিরিয়ার উপকূলে মোতায়েন রাশিয়ার অপর ১০টি জাহাজের সঙ্গে যোগ দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।