সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হতভাগ্য এসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন ইরাকি কর্মকর্তারা।
যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই ইরাকি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য। তারা মসুলে দক্ষিণে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বসবাস করতেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন নিনেভহ প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য আব্দুল রহমান আল ওয়াগা।
মসুলের পূর্ব দিকে কুর্দি অঞ্চলের রাজধানী ইরবিলে অবস্থানরত আব্দুল রহমান জানান, জঙ্গিরা বলপূর্বক পরিবারসহ তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে এবং মসুলের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে হাম্মাম আল আলিল টাউনে নিয়ে যায়, সেখানেই তাদের হত্যা করা হয়।
ওই এলাকার গ্রামগুলোর অন্যান্য বাসিন্দা ও ওই এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত লোকজনের বরাতে তিনি জানিয়েছেন, সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “অন্যান্যদের, নির্দিষ্টভাবে যারা মসুলে আছেন, সন্ত্রস্ত করতেই এসব করা হয়েছে।”
আইএস যেসব গ্রাম ছেড়ে গেছে সেগুলোর প্রত্যেকটি থেকেই পরিবারগুলোকে নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পৃথকভাবে ইরবিলের প্রভাবশালী কুর্দি রাজনীতিবিদ হোশিয়ার জেবারি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তিন দিন আগে মসুলের দক্ষিণে ৬৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে আইএস।
ইরাকের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেবারি আরো জানান, এক সপ্তাহ আগে আল হুদদ ও আল লাজাগা গ্রামে অগ্রসরমান সেনাবাহিনীর সমর্থনে আইএসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা দেয়, এরপর থেকেই এই দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের জিম্মি করতে শুরু করে আইএস।
গ্রাম দুটির ২০ জনকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দিয়ে তা কার্যকর করে জঙ্গিরা। তাদের পরিবারের সদস্যদের হাম্মাম আল আলিল অথবা মসুলে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল মঙ্গলবার জানিয়েছেন, আইএস গত সপ্তাহে মসুলের আশপাশে বহু লোককে হত্যা করেছে বলে জেনেছেন তারা।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার মসুলের দক্ষিণে টুলোউল নাসের গ্রামে ৭০ জন বেসামরিকের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া রোববার মসুলের বাইরে আইএসের জঙ্গিরা ৫০ জন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এমন খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কোলভিল।