মঙ্গলবার ফ্লোরিডার মিয়ামিতে নিজের মালিকানাধীন ট্রাম্প ন্যাশনাল ডোরাল গল্ফ রিসোর্টে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। এ সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রর নীতি বিষয়ক ইস্যুগুলো প্রাধান্য পেয়েছে।
ট্রাম্প মনে করেন, সিরিয়ায় পরমাণবিক শক্তিধর রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, “সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেয়ে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার বিষয়ে গুরুত্ব বেশি দেওয়া উচিত।”
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হেয় করার পর হিলারি কীভাবে তার সঙ্গে বিরোধ মিমাংসা নিয়ে আলোচনা করবেন।
পাশাপাশি নতুন প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তে সময় ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নাজুক করার জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দায়ী করেন।
তার প্রার্থীতার পক্ষে রিপাবলিকানদের মধ্যে ঐক্য না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, দলের নেতারা তাকে সমর্থন করলে তিনি সহজেই নির্বাচনে জয়ী হতেন।
তিনি বলেন, “আমাদের দলের মধ্যে যদি একতা থাকত তাহলে আমরা এই নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের কাছে পরাজিত হতাম না।”
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সংঘাত অবসানে হিলারি আরো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারেন।
সিরিয়ায় ‘নো ফ্লাই জোন’ ও বেসামরিকদের রক্ষায় ভূমিতে ‘সেফ জোন’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন হিলারি। এসব ‘জোন’ রক্ষা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার জঙ্গি বিমানগুলোর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে কিছু বিশ্লেষক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
নিজের রিসোর্টে ভাজা ডিম ও সসেজ দিয়ে নাস্তা করতে করতে ট্রাম্প বলেন, “আইএসআইএসের (আইএস) ওপরই মনোযোগ দেওয়া উচিত, সিরিয়ার ওপর নয়। আমরা যদি সিরিয়ার বিষয়ে হিলারি ক্লিনটনের কথা শুনি, তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দিয়েই সব শেষ হবে।
“আপনারা আর সিরিয়ার সঙ্গে লড়াই করছেন না, আপনারা সিরিয়া, রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে লড়াই করছেন, ঠিক আছে? রাশিয়া একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, কিন্তু একটি দেশে পারমাণবিক শক্তি যখন অন্য দেশগুলো প্রতিরোধে কাজ করে তা কথাও বলে।”
ট্রাম্পের এই সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে হিলারি শিবির বলেছে, রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট, উভয় দলীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সর্বাধিনায়ক হওয়ার অযোগ্য বলে ট্রাম্পের নিন্দা করেছেন।