ফ্রান্সের ক্যালে শরণার্থী শিবির খালির কাজ শুরু

ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের ক্যালে ‘জঙ্গল’ ক্যাম্প থেকে শরণার্থী সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2016, 01:04 PM
Updated : 24 Oct 2016, 01:04 PM

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার অভিবাসন কর্মকর্তারা কাজ শুরু করার এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে শরণার্থীদের নিতে আসা বাসের প্রথম বহরটি ক্যাম্প থেকে রওয়ানা হয়।

প্রথম দিনে প্রায় আড়াই হাজার শরণার্থীকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি ক্যালে জঙ্গলে অবস্থিত এই শরণার্থী শিবিরটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ফ্রান্স। ক্যাম্পটিতে প্রায় ১০ হাজার শরণার্থীর বাস, যারা শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রত্যাশী।

ফরাসি সরকার দেশজুড়ে জড়িয়ে থাকা সাড়ে চারশ শরণার্থী শিবিরে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ক্যালে জঙ্গল ক্যাম্পের শরণার্থীরা মূলত পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দারিদ্রপীড়িত দেশ এবং সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে আসা।

তেমনই একজন গিনি থেকে আসা আমাদু দিয়াল্লো রয়টার্সকে বলেন, “আশা করি এটা কাজ করবে। আমি একা এবং আমাকে শুধুমাত্র পড়াশুনা করতে হবে। কোথায় আমার যাত্রা শেষ হবে সেটা আসলে কোনো বিষয়ই না, সত্যিই আমার কাছে এর গুরুত্ব নেই।”

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পিয়ে থিয়েরি বার্নদেঁ বলেন, “শরণার্থীদের সরিয়ে নিয়ে কর্তৃপক্ষকে কোনো ধরনের বলপ্রয়োগ করতে হচ্ছে না। যদিও সোমবার সকাল থেকে শিবির এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধুমাত্র নিরাপত্তা প্রয়োজনে এটা করা হয়েছে।”

শরণার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও ক্যালে জঙ্গল ক্যাম্পের প্রায় ১৩শ’ অভিভাবকহীন শিশুর কি হবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।

এই সব শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইন অনুযায়ী অভিভাবকহীন শরণার্থী শিশুরা তাদের স্বজনদের সঙ্গে বসবাসের জন্য ইইউ ভূক্ত দেশগুলোতে যেতে পারবে।

এর অধীনে যুক্তরাজ্যে স্বজন রয়েছে এমন শিশুদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ক্যালে জঙ্গল শিবিরে বসবাসকারী শিশুদের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।

এরকম প্রায় দুইশ শিশু গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের পথে রওয়ানা হয়েছে বলেও জানান ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।

বাকি শিশুদের ভবিষ্যৎ এখনও নিশ্চিত বলে জানিয়েছে রয়টার্স।