সালফার কারখানায় ‘আইএসের আগুন’, বিষাক্ত ধোঁয়ায় অসুস্থ সহস্রাধিক

ইরাকে আইএসবিরোধী লড়াইয়ের কেন্দ্রে পরণিত হওয়া মসুলের একটি সালফার কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় অসুস্থ সহস্রাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2016, 06:42 PM
Updated : 22 Oct 2016, 06:42 PM

শনিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার মসুলের দক্ষিণে আল-মিশরাক নামে ওই সালফার কারখানা ঘিরে যুদ্ধের সময় আইএস জঙ্গিরা কারখানাটিতে আগুন দেয় বলে যুক্তরাষ্ট্র কর্মকর্তারা বলছেন।

মসুল থেকে আইএস তাড়াতে ইরাকের সরকারপন্থি বাহিনীর অভিযানে এরই মধ্যে কিছু এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে জঙ্গিরা। ইরাকি বাহিনী ইতোমধ্যে আইএস নিয়ন্ত্রিত মসুলের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত শহর কারাকশে প্রবেশ করেছে।

কারাকশই দেশটিতে বসবাসরত খ্রিস্টানের সবচেয়ে বড় শহর। তবে এটি এখন প্রায় ফাঁকা বলা যায়। আইএস জঙ্গিরা সেখান থেকে মসুলের পথে অসংখ্য স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে।

আর একইসঙ্গে মসুলের দক্ষিণে কায়েরা এলাকায় থাকা সালফার কারখানাটির আগুনে বিষাক্ত ধোঁয়া বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে কাছেই থাকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি সেনা ঘাঁটিতেও পৌঁছে যায় শনিবার, যাতে গ্যাসরোধী মুখোশ পরতেও বাধ্য হন সেনা সদস্যরা।

কুসে হামিদ খাদেম নামে এক ইরাকি কমান্ডারের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ধোঁয়ায় দুই বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ অসুস্থ হয়েছে।

এ ঘটনায় এক হাজার মানুষকে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিবিসি বলছে, ওই সালফার কারখানাটি যে এলাকায় রয়েছে সেই কায়ারাকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে মসুল থেকে আইএস হটাতে ইরাক সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

একই রকম আগুনে ২০০৩ সালে দুই সপ্তাহ ধরে পুড়েছিল আল-মিশরাক কারখানা; বাতাসে ছড়িয়েছিল বিপুল পরিমাণ সালফার-ডাই অক্সাইড। এতে স্থানীয়দের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হয়।