‘আলেপ্পোর জন্য ঘণ্টাধ্বনি’

সিরিয়ার শহর আলেপ্পোয় যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে হেলসিঙ্কির প্যারিশ চার্চ প্রতিদিন যে ঘণ্টাধ্বনি দিয়ে আসছে তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য চার্চগুলো।

>>রয়টার্স
Published : 22 Oct 2016, 06:54 AM
Updated : 22 Oct 2016, 07:03 AM

হেলসিঙ্কির কাল্লিওর লুথেরান প্যারিশ চার্চে ১২ অক্টোবর থেকে আলেপ্পোয় নিহতদের স্মরণে প্রতিদিন ঘণ্টাধ্বনি চালু হয়।

রুশ ও সিরীয় বাহিনী আলেপ্পোর বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বিমান হামলা বাড়ানোর পর থেকে চার্চটি প্রতিদিন ঘণ্টাধ্বনি শুরু করে।

কাল্লিও প্যারিশ চার্চের প্রতিনিধি টিমু লাজাসালো রয়টার্সকে বলেন, “ওইদিন আলেপ্পোর সংবাদ পাঠের পর আমরা নিহতদের স্মরণে প্রতিদিন বিকাল ৫টায় শেষকৃত্যের ঘন্টাধ্বনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। প্রথমে আমি স্থানীয় কয়েকটি চার্চকে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।”

তিনি আরো জানান, দ্রুত দেশের ও ইউরোপের শতশত চার্চ এরসঙ্গে যোগ দেয়। ফিনল্যান্ডের ইভানজেলিক্যাল লুথারেন চার্চ ‘আলেপ্পোর জন্য ঘণ্টাধ্বনি’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করে, যাতে অংশগ্রহণকারী চার্চগুলোর তালিকা রাখা যায়।

ওই ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ২০টি দেশের ৫ শতাধিক চার্চ এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস পর্যন্ত প্রতিদিন গির্জায় আলেপ্পোয় নিহতদের স্মরণে ঘন্টাধ্বনি দেওয়া হবে।

লাজাসালো বলেন, “আমরা আলেপ্পোয় ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড দেখছি কিন্তু একই সঙ্গে অনুভব করছি, পরিস্থিতির জটিলতার কারণে তাদের সাহায্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা চাই, সুন্দর ভবিষ্যতের আশা যেন আমরা দিতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের কণ্ঠ এই ঘণ্টাধ্বনির মতোই জোরালো হোক।”

ঐতিহ্যগতভাবে ফিনল্যান্ডের চার্চগুলোতে শেষকৃত্যানুষ্ঠানের ঘণ্টাধ্বনি তখনই দেওয়া হয় যখন কোনো মৃতদেহকে ধর্মীয় আচার সম্পন্ন হওয়ার পর চার্চ থেকে বাইরে নিয়ে আসা হয়।

সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট উরহো কালেবা এককোনেনের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে দেশটির সব চার্চ সমন্বিতভাবে ঘণ্টাধ্বনি দিয়েছিল।