জিতলে ভোটের ফল মেনে নেবেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনে জয়ী হলে ভোটের ফল মেনে নেবেন তিনি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2016, 07:54 PM
Updated : 20 Oct 2016, 07:58 PM

তিনি আরও বলেছেন, একটি ‘স্বচ্ছ’ ফল গ্রহণ করবেন তিনি। তবে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ ফল চ্যালেঞ্জ করার অধিকার তার রয়েছে।

ভোটের লড়াইয়ের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তৃতীয় ও শেষ বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার ওহিও’র ডেলাওয়ারে এক সমাবেশে  ট্রাম্প একথা বলেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আগের রাতে লাস ভেগাসের নেভাডা ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই বিতর্কে ভোটের ফল মেনে নিতে নাও পারেন বলে ইঙ্গিত দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে আসা রিপাবলিকান প্রার্থী।

বিতর্কের সঞ্চালক ফক্স নিউজের উপস্থাপক ক্রিস ওয়ালেস ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, নির্বাচনে হারলে তিনি কি তা মেনে নেবেন?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি তোমাকে সাসপেন্সের মধ্যেই রাখতে চাই। আমি তোমাকে ওই সময়ে বলব।”

বিভিন্ন জনমত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে হিলারির এগিয়ে থাকার তথ্য আসছে। তবে আগামী ৮ নভেম্বরের ভোটেই নির্ধারিত হবে- কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট।

ওহিও’র সমাবেশে হাসতে হাসতে ট্রাম্প বলেন, “আমার সব ভোটার ও সমর্থক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সব মানুষের কাছে আমি অঙ্গীকার করছি যে, এই মহান ও ঐতিহাসিক ভোটের ফল আমি পুরোপুরি মেনে নেব ‘যদি আমি জয়ী হই’।”

এই নির্বাচনে ‘আমাদের দেশের স্বচ্ছতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঝুঁকি থাকছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সম্প্রতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন  বেশ কয়েকজন নারী। বৃহস্পতিবার এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কারেনা ভার্জিনিয়া নামে আরেকজন।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেছেন, ১৯৯৮ সালে ইউএস ওপেনে তার শরীরে হাত দেন ট্রাম্প। এছাড়া একদল লোকের কাছে তাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন তিনি।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগকারীদের তালিকায় দশম নারী হিসেবে সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন ভার্জিনিয়া।

তবে সত্তর বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনা  এসব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’।

তাকে নির্বাচনে হারাতে কারচুপির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে নিউ ইয়র্কে একটি নৈশভোজে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে হিলারি ও ট্রাম্পের।