৮ অক্টোবর হাইস্কুলের ছাত্রী লুসিয়া পেরেজকে ধর্ষণের পর পেরেক বিদ্ধ করে হত্যা করে মাদক বিক্রেতারা।
নারীর প্রতি সহিংসতার এই ঘটনায় শোকাহত হাজার হাজার আর্জেন্টাইন বুধবার কালো পোশাক পরে রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ জানিয়েছে, খবর এনডিটিভির।
পেরেজের স্মরণে রাস্তায় নেমে আসা এসব আর্জেন্টাইনের মধ্যে কিছু পুরুষ থাকলেও অধিকাংশই নারী।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপর ১টা থেকে তারা ঘন্টাব্যাপী একটি ধর্মঘট করে। এ সময় প্রতিবাদকারীদের অনেকের হাতে থাকা ফেস্টুনে লেখা ছিল, “তুমি যদি আমাদের কোনো একজনকে স্পর্শ কর, আমরা সবাই প্রতিক্রিয়া দেখাবো।”
ঝড়বৃষ্টি সত্বেও প্রতিবাদকারীরা রাজধানী বুয়েনস এরিসের কয়েকটি ব্লকের বেশ কিছু সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে, এ সময় আশপাশের বিভিন্ন ভবনের অফিসগুলোর জানালা দিয়ে সমর্থনকারীরা চিৎকার করে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানান।
সরকারি হিসাবে দেশটিতে পারিবারিক সহিংসতায় প্রতি ৩৬ ঘন্টায় একজন নারী খুন হন।
গত বছর জুনে তিনটি লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আর্জেন্টিনাজুড়ে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়।
প্রথম ঘটনায় কিন্ডারগার্টেনের এক স্কুল শিক্ষিকাকে তার সাবেক স্বামী ক্লাশের শিক্ষার্থীদের সামনে গলা কেটে হত্যা করে। দ্বিতীয় ঘ্টনায় গর্ভবতী হয়ে পড়ায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে তার প্রেমিক পিটিয়ে হত্যা করে। অপর ঘটনায় রাজধানী বুয়েনস এরিসের একটি ক্যাফেতে প্রকাশ্যে দিবালোকে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে খুন হন এক নারী।
আর্জেন্টিনার প্রতিবাদের সমর্থনে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনায়ও কয়েকশত নারী বিক্ষোভ করেছেন। পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা লিমা ও মেক্সিকো সিটিতেও বিক্ষোভ হয়েছে।