বিবিসি বলছে, মালয়েশিয়ার ধর্মবিষয়ক সরকারি প্রতিষ্ঠান ইসলামিক উন্নয়ন বিভাগ জানিয়েছে, মুসলিম পর্যটকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তারা এই নির্দেশ দিয়েছে।
বিভাগটির পরিচালক সিরাজুদ্দিন সুহাইমি বলেন, এই নামটি অবশ্যই ‘বিভ্রান্তিকর’।
তিনি আরো বলেন, “ইসলামে কুকুরকে অপবিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে এই নামযুক্ত কোনোকিছুকে হালাল সার্টিফিকেট দেওয়া যায় না।”
তিনি এই খাদ্যপণ্যটির নামে ডগের পরিবর্তে সসেজ যুক্ত হলে যথাযথ হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার হালাল খাদ্যের গাইডলাইনে বলা আছে, হালাল খাদ্য এবং হালাল কৃত্রিম স্বাদের কোনো খাদ্যপণ্যের নাম হালাল নয় এমন কোনোকিছুর নামে নামকরণ করা যাবে না। এমন কী সমার্থক নামও রাখা যাবে না।
উদাহরণ হিসেবে হ্যাম, বেকন, বিয়ার, রামসহ অন্যান্য শব্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ মালয়েশিয়া ইসলামের উদারপন্থা চর্চায় বিশ্বাসী বলে পরিচিত। কিন্তু দিনে দিনে দেশটিতে রক্ষণশীল কর্তৃত্বের উত্থান ঘটছে।
তবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খোদ সরকারের মধ্যেও প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী নাজরি আজিজ এই নির্দেশকে ‘নির্বুদ্ধিতা ও পশ্চাৎপদতা’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, “হট ডগ হচ্ছে হড ডগ। এমন কী মালয়েও হট ডগই বলা হয়। বহু বছর ধরেই এটি চলে আসছে। আমি নিজেও একজন মুসলিম। কিন্তু এই নামের কারণে আমি কখনো ক্ষুব্ধ হইনি।”
তিনি আরো বলেন, এই শব্দের ব্যাপারে ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই।
“এটা ইংরেজি ভাষা থেকে এসেছে। দয়া করে আমাদের নির্বোধ এবং পশ্চাৎপদ হিসেবে পরিচিত করবেন না।”-বলেন আজিজ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।