বিবিসি বলছে, হংকং-এর ওশিয়ান পার্ক কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে। এই পার্কটিতেই পান্ডাটি বসবাস করতো।
১৯৯৯ সালে অন্য একটি পান্ডার সঙ্গে এই নারী পান্ডাটিকে পার্কটিতে নিয়ে আসা হয়েছিল।
ধারণা করা হয় যে বন্দি অবস্থায় থাকা এটিই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী পান্ডা।
এ বিবৃতিতে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “সে (জিয়া জিয়া) ছিল আমাদের পরিবারের সদস্য। তার কথা সব সময় মনে পড়বে। নিজের প্রজাতির প্রতিনিধি হিসেবে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।”
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুইসপ্তা ধরে পান্ডাটি তার খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দিয়েছিল। দৈনিক ১০ কেজি খাদ্য থেকে কমে তার খাদ্যগ্রহণ এসে ৩ কেজিতে দাঁড়িয়েছিল। এরফলে প্রাণীটির ওজন কমে গিয়েছিল।
“গেল কয়েকদিন খুব কম সময়েই পান্ডাটি জেগে ছিল এবং খাবার কিংবা পানীয়ের প্রতি তেমন কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেনি।– জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
জিয়া জিয়ার লালন-পালন ও যথাযথ সেবা দেওয়ার কারণে হংকং সরকারের মুখপাত্র পার্ক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে পান্ডাটির মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
চীনের সিচুয়ানে ১৯৭৮ সালে জিয়া জিয়া জন্ম নিয়েছিল। ১৯৯৯ সালে প্রাণীটিকে হংকং-এ পাঠানো হয়েছিল।
পান্ডা স্বাভাবিক অবস্থায় বনে-জঙ্গলে ২০ বছরের মতো বাঁচে। কিন্তু আটক অবস্থায় সেটি ২৫ বছরের মতো বাঁচতে পারে। সেক্ষেত্রে জিয়া জিয়ার ৩৮ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকা মানুষের শতবর্ষ বেঁচে থাকার মতোই বিস্ময়কর।
বৃক্ষশূন্যতার কারণে ক্রমশ জঙ্গলের পরিমাণ কমছে যে কারণে পান্ডারাও ভুগছে অস্তিত্ব সঙ্কটে৷ ২০১৪ সালে করা চীন সরকারের একটি সার্ভে থেকে জানা যায়, তখনও পর্যন্ত ১,৮৬৪টি পান্ডা জীবিত ছিল৷
পান্ডা জিয়া জিয়ার ছয়টি বাচ্চা রয়েছে বলে জানা গেছে।