বিবিসি বলছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কোনো দেশে এই প্রথমবার জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় অপুষ্ট মাথার শিশু জন্ম নেওয়ার ঘটনা ঘটল।
এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের কারণও এডিস মশা।
গেল বছর ব্রাজিলে প্রথম জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
দক্ষিণ এশিয়াজুড়েও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বলে সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে।
থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রাসার্ত থঙচারোয়েন বলেন, “সংক্ষেপে বলতে গেলে, জিকা ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত অপুষ্ট মাথার দুটি শিশুর জন্ম হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় জিকা ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত মাইক্রোসেফালির ঘটনা এই প্রথম।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে ৩৫০ জন জিকা আক্রান্ত রোগীর কথা নিশ্চিত করেছিল থাইল্যান্ড। এদের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন গর্ভবতী- ওই অঞ্চলে সংখ্যার দিক থেকে এটি সর্বোচ্চ।
শিশুদের অপুষ্ট মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া অর্থাৎ মাইক্রোসেফালির সঙ্গে এই ভাইরাস দায়ী বলে বেশিরভাগ চিকিৎসক এবং গবেষক মনে করেন।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বিরল। আর সাধারণত জিকা আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনে একজনের মধ্যে এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
হালকা জ্বর, চোখ লাল হওয়া, মাথাব্যথা, হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা এবং চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়ি হচ্ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষ সাময়িকভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন।
এখনো পর্যন্ত জিকা ভাইরাসের কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। চিকিৎসকেরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে সবচে উদ্বেগের কারণ গর্ভের শিশুদের উপর ভাইরাসটির প্রভাব।