ইসরায়েলের নেতা শিমন পেরেজের মৃত্যু

ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শিমন পেরেজ তেল আবিবের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 28 Sept 2016, 03:39 AM
Updated : 28 Sept 2016, 03:56 AM

ইসরায়েল রেডিওর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পেরেজ। বুধবার ৯৩ বছর বয়সী এ রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর পেরেজ দুইবার প্রধানমন্ত্রী ও একবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

ফিলিস্তিনের সঙ্গে ১৯৯৩ সালে শান্তি চুক্তির পরের বছর ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন ও ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

শুরুর দিকে পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতি এলাকায় আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন পেরেজ।

এক সময় ইহুদিদের গোপন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাগানাহ’র কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র কেনাবেচার দায়িত্ব পান। ওই সময় নতুন ইসরায়েলি রাষ্ট্র নির্মাণে ফ্রান্সের কাছ থেকে মিরেজ জেট ফাইটার কেনার সফল চুক্তিতেও তিনি ছিলেন।

ওই হাগানাহ পরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে পরিণত হয়।

ইসরায়েল গোপন পারমাণবিক স্থাপনাও সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই আসে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

সরকারের দায়িত্ব ছাড়ার পর জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন পেরেজ। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে চলা পেরেজ সেন্টার ফর পিসের কর্মকাণ্ডেই সময় ব্যয় করতেন বেশি। বেসরকারি এ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।

পেরেজ প্রায়ই তার বক্তৃতায় ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলিদের ‘দাবি কমানোর’ প্রয়োজনের কথা বলেছেন।

ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলের ‘নিকটতম প্রতিবেশী’ উল্লেখ করে পেরেজ একবার বলেছিলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের উচিৎ একে অপরের ‘সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু’তে পরিণত হওয়া।