এনডিটিভি বলছে, বিকে বানসাল নামের ওই কর্মকর্তা ভারতের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক পদে নিয়োজিত ছিলেন।
গেল জুলাইয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গ্রেপ্তারের দুদিন পর তার স্ত্রী ও মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
১৭ জুলাই বানসালকে একটি কোম্পানির কাছ থেকে ৯ লাখ রুপি ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুম্বাই-ভিত্তিক একটি ওষুধ কোম্পানির আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখভাল করছিলেন বানসাল। কোম্পানিটি এর থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজছিল। বানসাল কোম্পানিটিকে এর থেকে উদ্ধারের বিনিময়ে ২০ লাখ রুপি ঘুষ দাবি করেন।
ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠার পর সিবিআই বানসালের অ্যাপার্টমেন্টসহ বেশ কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালায়।
জানা গেছে, তল্লাশি চালিয়ে ৬০ লাখ নগদ রুপি, সম্পদের ২০টি দলিল এবং ৬০ ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
অগাস্টে জামিনে মুক্তি পান বানসাল।
বানসাল গ্রেপ্তার হওয়ার দুইদিন পর তার স্ত্রী ৫৮ বছর বয়সী সাথিবালা বানসাল এবং মেয়ে ২৭ বছর বয়সী নেহা বাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তারা দুজনেই একই ধরনের চিঠি লিখে যান, তাতে দাবি করেছেন, সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযানে তারা অপমানিত বোধ করে এই পথ বেছে নিয়েছেন।