পুরুষ কর্তৃত্বের অবসান চান সৌদি নারীরা

সৌদি আরবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চাইছেন নারীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Sept 2016, 05:13 PM
Updated : 26 Sept 2016, 05:22 PM

দেশটিতে চাকরি, বিদেশে ভ্রমণ এমনকি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্যও নারীদেরকে ‍পুরুষ অভিভাবকদের অনুমতি নিতে হয়।

এবার এ ব্যবস্থারই অবসান চেয়ে ১৪ হাজারের বেশি সৌদি নারীর সই করা একটি আবেদন জমা পড়েছে সরকারের কাছে।

কঠোর ইসলামিক অনুশাসনের এ দেশটিতে নারীদের এমন আবেদন এটিই প্রথম। সৌদি আরবের নারী অধিকারকর্মী আজিজা আল-ইউসেফ সরকারের কাছে আবেদনটি জমা দেন।

টুইটারে হ্যাসট্যাগের মাধ্যমে অনলাইনে এর পক্ষে প্রচার চালান আজিজা।

বিবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এ প্রচারের জন্য খুবই গর্ব অনুভব করছি। কিন্তু এখন এ প্রচারে সাড়া পাওয়া দরকার।”

“প্রতিটি দৃষ্টিকোণ থেকে নারীদের একজন পূর্ণ নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

রক্ষণশীল ইসলামিক দেশ সৌদি আরবে নারীদের পাসপোর্ট করা, বিয়ে করা এবং দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য বাবা, ভাই অথবা অন্য পুরুষ স্বজন এমন কি বিধবাদের ক্ষেত্রে ছেলের অনুমতি প্রয়োজন হয়।

দেশটির অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের এবং প্রতিষ্ঠানে নারী কর্মীদেরকে অভিভাবকের অনুমতিপত্র জমা দিতে হয়। যদিও এর আইনগত ভিত্তি নেই।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়, দেশটিতে নারীদের বাড়ি ভাড়া, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া কিংবা আইনি সাহায্য নিতেও অনেক ক্ষেত্রে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি লাগে।

ফলে পুরুষ অভিভাবকরা যদি তাদের নীপিড়ন করে অথবা তাদের সব কাজে বাধা দেয় সেক্ষেত্রে নারীদের করার কিছু থাকে না।

সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোও নিষিদ্ধ। ২০১৩ সালে আজিজা ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।

এই পিটিশনের কোনও নেতিবাচক ফলা হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আজিজা। তিনি বলেন, “আমি একদমই উদ্বিগ্ন নই। আমি কোনও অন্যায় করছি না।”

পাঁচ বছর আগে একবার এ বিষয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন আজিজা ও তার সহযোগীরা।

তিনি বলেন, “প্রচার চালাতে আমাদের কখনওই কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সমস্যা হল, এর কোনো উত্তর পাওয়া যায় না। এরপরও আমরা সব সময়ই আশাবাদী। কারণ আশা না থাকলে কাজ করা যায় না।”

সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নারীদের আবেদনের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।