বিবিসি বলছে, দেশটির কানানগা শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আধা-সামরিক গোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহতের এই ঘটনা ঘটে।
গেল অগাস্টে আধা-সামরিক বাহিনীর নেতা সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিল বাহিনীটি।
শুক্রবার ওই আধা-সামরিক বাহিনীর যোদ্ধারা শহরটির বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে একজন বিমানকর্মীকে হত্যা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দেশটিতে কয়েক বছর ধরেই অস্থিরতা বিরাজ করছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার বিরুদ্ধে রাজধানী কিনসাসায় চলতি সপ্তার প্রথমদিকে বিক্ষোভ-সহিংসতায় অন্ততপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রয়াত আদিবাসীনেতা কামউইনা স্ন্যাপুর অনুগত যোদ্ধারা বৃহস্পতিবার সকালে কানানগা শহরে প্রবেশ করেন।
রেডিও ওকাপি জানিয়েছে, যোদ্ধারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হয় এবং মার খেয়ে পিছু হঠতে বাধ্য হয়।
পুনরায় তারা শুক্রবার ফিরে এসে বিমানবন্দরটিতে হামলা চালায়।
বিমানবন্দরে নিহত ফ্ল্যাইট অ্যাটেন্ডেন্টের লাশ দেখতে পেয়েছেন এমন একজন প্রত্যক্ষদর্শী কিলি ইলুনগা বলেন, “তারা হালকা ও ভারী অস্ত্র দিয়ে প্রবল লড়াই করছিলেন।
অপর একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী-যোদ্ধার লাশ বিমানবন্দরে পড়ে থাকতে দেখেছেন।
নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলেও বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে ধারণা করা হচ্ছে ১০ থেকে ১৩ জন নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
সরকারি মুখপাত্র ল্যাম্বার্ট মেনদে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।