সিঙ্গাপুরে ৪১ জনের জিকা ভাইরাস সংক্রমণ

দেশের ভেতরেই ৪১ জন জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর  নিশ্চিত করেছে সিঙ্গাপুর।

>>রয়টার্স
Published : 29 August 2016, 03:34 PM
Updated : 29 August 2016, 03:34 PM

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এদের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিক এবং আক্রান্ত সবাই একই অঞ্চলে বাস করে অথবা কাজ করে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রোববার এক বিবৃতিতে বলা হয়, আক্রান্ত ৪১ জনের মধ্যে ৩৪ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং বাকি সাত জন এখনও  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

“আক্রান্তদের মধ্যে ৩৬ জনই বিদেশি শ্রমিক, যারা একই নির্মাণ সাইটে কাজ করে। পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় ওই নির্মাণ সাইটের কাজ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

আক্রান্তরা একই এলাকায় বাস করলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এর আগে শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার এক নারীর সিঙ্গাপুরে এসে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়।

এ বছর মে মাসে সিঙ্গাপুরে প্রথম জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। ৪৮ বছর  বয়সী সিঙ্গাপুরের ওই নাগরিক ব্রাজিল ভ্রমণের সময়  ভাইরাস আক্রান্ত হন।

 সাধারণত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি খুব একটা শারীরিক সমস্যায় পড়েন না।

কিন্তু এই ভাইরাসের সঙ্গে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে শিশু জন্মানোর সম্পর্ক থাকার বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে।

কোনও গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার গর্ভের শিশু ‘ছোট মাথা’ নিয়ে জন্মাতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শিশুদের এই অবস্থাকে মাইক্রোসেফালি বলে।

মাতৃগর্ভে থাকার সময়  মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশুর মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে হয় না। ফলে ওই সব শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্দী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এমন কি জন্মের পরপর  তার মৃত্যুও হতে পারে।

এডিস মশাবাহী জিকা ভাইরাসের বিস্তার যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও ঘটে।

গত বছর ব্রাজিল ও আশেপাশের দেশগুলোতে জিকার প্রাদুর্ভাবের পর এ বছর ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বজুড়ে গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।