কুর্দি বিদ্রোহীদের এক ট্রাকবোমা হামলায় ১১ জন পুলিশ নিহত হওয়ার পর শুক্রবার একথা বলেছেন তিনি।
ইস্তানবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথম থেকেই আমরা তুরস্কের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করে চলেছি। আমরা সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতাও রক্ষা করছি। ওইসব সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এসব দেশের অংশগুলো নিয়ে একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চায়, তারা কখনোই সফল হবে না।”
“আমাদের নাগরিকদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ও আমাদের সীমান্ত নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত (সিরিয়ায়) আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। দায়েশ (আইএস) ও অন্যান্য সন্ত্রাসী উপাদানগুলো হটিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা অভিযান চালিয়ে যাবো।” –বলেন ইলদিরিম।
সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনীর প্রথম বড় ধরনের অনুপ্রবেশের দুই দিন পর সিরিয়া ও ইরাকের সীমান্তবর্তী তুরস্কের একটি প্রদেশে পুলিশের সদরদপ্তরে ওই ট্রাকবোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
তুর্কি সীমান্ত এলাকা থেকে আইএস জঙ্গিদের হটানো সিরিয়ায় তুর্কি অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলেও আইএস জঙ্গিদের ছেড়ে যাওয়া এলাকাগুলো যেন কুর্দি বেসামরিক বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করারও তুর্কি অনুপ্রবেশের অন্যতম উদ্দেশ্য।
ইলদিরিম এসব কথা বলার পরপরই তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহরত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) পুলিশ সদরদপ্তরে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
তুরস্কের তথাকথিত ‘ইউফ্রেতিস শিল্ড অভিযানের’ নিন্দা করে একে নিজেদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘণ বলে বর্ণনা করেছে সিরিয়া।
সিরিয়ায় কুর্দিদের ২৩ দলীয় এক জোটও তুর্কি অনুপ্রবেশের নিন্দা জানিয়েছে। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা সিরিয়া থেকে তুর্কি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার দাবি করেছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে তুরস্ক সিরীয় ভূখণ্ড দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করেছ বলে অভিযোগ করেছে।
বুধবার তুরস্কের বিশেষ বাহিনী, তাদের ট্যাঙ্ক ও বিমানগুলো তুর্কি সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীদের সহায়তা দিতে সিরিয়ায় অনুপ্রবেশ করে। অধিকাংশ তুর্কি ও আরবদের নিয়ে গঠিত ওই বিদ্রোহীরা তুর্কি বাহিনী প্রবেশ করার পরপরই আইএস জঙ্গিদের হটিয়ে তুর্কি সীমান্তে সিরীয় শহর জারাবলুস দখল করে নেয়।