ভারতে গর্ভভাড়া বন্ধের খসড়া আইন প্রকাশ

বাণিজ্যিকভাবে গর্ভভাড়া বা সারোগেসি নিষিদ্ধে ভারত সরকার একটি আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2016, 07:05 AM
Updated : 25 August 2016, 07:31 AM

বিবিসি বলছে, এই খসড়া আইন দেশটির পার্লামেন্টে পাস হলে তা কার্যকর করা হবে।

আইনটি পাস হলে ভারতীয় পাসপোর্ট নেই, ভারতীয় একক বাবা-মা এবং সমকামী, এমন ব্যক্তিরা সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের অধিকারী হতে পারবেন না।

সন্তানহীন দম্পতিরা এই পদ্ধতিতে সন্তানের অধিকারী হতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে সারোগেট মাকে অবশ্যই ওই সন্তানহীন দম্পতির নিকট আত্মীয় হতে হবে।

সন্তানহীন দম্পতিদের গোষ্ঠী খসড়া এই আইনের সমালোচনা করে বলেছে, এতে করে অবৈধ সারোগেসি ইন্ডাস্ট্রির বিস্তার ঘটতে পারে।

বিশ্বে ‘গর্ভভাড়ার কেন্দ্র’ বা ‘সারোগেসি হাব’ হিসেবে ভারতকে মনে করা হয় যেখানে শুধু সন্তানহীন ভারতীয় দম্পতিই নয় অনেক বিদেশিও টাকার বিনিময়ে সন্তানের জন্মদান পর্যন্ত দেশটির স্থানীয় নারীদের গর্ভভাড়া করে থাকেন।

এই খাতের লেনদেনের আর্থিক পরিমাণ বছরে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি। কিন্তু তদারকিহীন এই খাতটির ব্যাপারে ক্রমশ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সাংবাদিকদের বলেছেন, খসড়া নয়া আইনের আওতায় শুধু স্থানীয় নিঃসন্তান দম্পতিরাই যারা পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করেছেন তারা সারোগেসি শরণাপণ্ন হতে পারবেন। তবে সেই সারোগেট মাকে অবশ্যই ওই নিঃসন্তান দম্পতির নিকট আত্মীয় হতে হবে।

নয়া খসড়া এই আইনে আইন অমান্যকারীকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং নগদ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, সারোগেট মা  কেউ হতে পারেন। তবে, তাতে কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন চলবে না। শুধু সারোগেট মায়ের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করা যাবে।

“সারোগেসির বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধে এটি একটি বিস্তৃত আইন।” বলেন সুষমা।

অনেকে এই আইনকে সমকামীদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছেন।

বিশ্বের সবচে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর এক তৃতীয়াংশই ভারতের। সমালোচকেরা বলছেন, মূলত দারিদ্র্যের কারণেই নারীরা টাকার বিনিময়ে সারোগেট মা হচ্ছেন।