মিয়ানমারে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃত ৩

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুটি শিশুসহ অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 04:12 PM
Updated : 25 August 2016, 08:30 AM

বুধবার সংঘটিত ছয় দশমিক আট মাত্রার এ ভূমিকম্পে ‘৪০ লাখ মঠের শহর’ বলে পরিচিত দেশটির প্রাচীন রাজধানী বাগানের কয়েকশত বছরের পুরনো বহু সংখ্যাক মঠ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। 

তীব্র ভূমিকম্পে সমগ্র মিয়ানমার ছাড়াও প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতেও ঘরবাড়ি-ভবন কেঁপে উঠেছিল। 

বাগান থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমারের ক্ষুদ্র পর্যটন শহর পাকোককু থেকে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-র ভিনসেন্ট পানজানি বলেন, “প্রায় ১০ সেকেন্ড ধরে আমরা প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করেছি, এরপর আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের মুখে আমরা ভবন ছেড়ে বেরিয়ে যাই।”

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার ঠিক পরপর বাগানের দক্ষিণে ইরাবতি নদীর তীরবর্তী চাউক টাউন কাছে ভূপৃষ্ঠের ৮৪ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এলাকাটি মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।  

দমকল ও রেডক্রসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাউকের দক্ষিণে ইয়েনানচায়ুং টাউনে দুটি শিশু নিহত হয়েছে।

মিয়ানমার রেডক্রস সোসাইটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দলের উপপ্রধান মোয়ে থিদার উয়িন জানিয়েছেন, একটি নদীর পাড়ের মঠ ধসে দুটি বালিকা মারা গেছেন।

“পাকোককুর একটি তামাক কারখানার ছাদ ধসে অপর এক ব্যক্তি মারা গেছেন,” বলেন তিনি। 

বাগানের একটি মঠে এক নারী পর্যটক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তা খিন মাইয়া লউয়িন।

দেশটির তথ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একাদশ শতাব্দি থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দির মধ্যে তৈরি করা বাগানের অন্তত ১০০টি বিখ্যাত মঠ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাগানে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার মঠ ও মন্দির রয়েছে। চারদিকে কুঁয়াশাময় পর্বতের মাঝখানে ৪২ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত একটি সমভূমির মধ্যে এসব মঠ ও মন্দির ছড়িয়ে আছে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের ভবনগুলোসহ অন্যান্য শহর ও টাউনের ঘরবাড়িও প্রবল ঝাঁকুনি খেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মিয়ানমারের পূর্বপাশের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ভবনগুলো কয়েক সেকেন্ড ধরে ঝাঁকুনি খেয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।