নওরোজ ও মোয়াজ নামের শিশু দুইটির বুক ও পেটের দিকের অংশ জোড়া লাগানো ছিল।
বুধবার শিশু দু’টি মারা যায় বলে জানায় ‘সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি’ (এসএমএমএস)।
টুইটারে দাতব্য সংস্থাটির তুরস্ক অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার মোহাম্মদ কতুব বলেন, শিশু দুইটিকে উদ্ধারের কোনও অনুমতি মেলেনি। ভ্রমণের অনুমতি না থাকায় তাদেরকে কোনও দেশে চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয়নি।
২৩ জুলাই দুমার জাহরা হাসপাতালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে জন্ম হয় তাদের। জন্মের সময় শিশু দুইটির ওজন ছিল ৫ দশমিক ৪ কেজি।
গত দুই বছর ধরে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী দুমা অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
জন্মের প্রায় তিন সপ্তাহ পর শিশু দুইটিকে রাজধানী দামেস্কের একটি শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, সঙ্গী তাদের মা এবং অন্য একজন আত্মীয়া।
সিরিয়ার চিকিৎসকরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে শিশুদুটির অস্ত্রপচারে সাহায্য করার আবেদন করেছিল। সিরিয়ার কোনো হাসপাতালে এত জটিল অস্ত্রপচার সম্ভব ছিল না।
অস্ত্রপচারের জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে সিরিয়া সরকারকে বাধ্য করতে চিকিৎসকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুদুটির ছবি পোস্ট করে।
ওই ছবি ভাইরাল হয়ে যায় এবং অনেকেই শিশুদুটির সুস্থতা কামনা করে।
গত সপ্তাহে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে কতুব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব শিশুদুটিকে চিকিৎসা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও উভয় দেশই সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থক হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিলম্ব হচ্ছে।
সোমবার রাতে তিনি টুইটারে বলেন, “নওরোজ ও মোয়াজের বয়স একমাস হতে চললো, কিন্তু ভয়াবহ পক্রিয়ার কারণে এখনো তাদের উদ্ধার পাওয়ার অপেক্ষা করতে হচ্ছে।”
এর মাত্র ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যুর খবর দেন কতুব।