এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে বিশ্ব সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন এই দেশটির প্রাযুক্তিক সক্ষমতার উন্নতি প্রদর্শিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়ে উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে চলছে।
স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে দেশটির উপকূলীয় শহর সিনপোর কাছে সাগরে থাকা সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার চিফ অব জয়েন্ট স্টাফ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে সিনপোর কাছে একটি সাবমেরিন ঘাঁটি আছে বলে দেখা গেছে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ‘বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ জোন’ (এডিআইজেড) পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এবারই প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানি এডিআইএজেড এলাকায় গিয়ে পড়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দেশটির চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদি সুগা।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক সামরিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “উত্তর কোরিয়ার এসএলবিএম (সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল) প্রযুক্তির অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড জানিয়েছে, তাদের ধারণা ক্ষেপণাস্ত্রটি সাবমেরিন থেকে ছোড়া কেএন-১১ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে বলে নিশ্চিত করেছে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড।
বৈরি দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করার দুই দিন পরই এ ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া। ওই যৌথ মহড়ার নিন্দা জানিয়ে এর পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল দেশটি।