হিলারির ১৪,৯০০ ইমেইল ফের খতিয়ে দেখার আদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট থেকে হিলারি ক্লিন্টন যেসব ইমেইল পাঠিয়েছেন সেগুলোর ১৪ হাজার ৯শ’ টি পুনরায় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

>>রয়টার্স
Published : 23 August 2016, 02:33 PM
Updated : 23 August 2016, 02:39 PM

যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক কোর্টের বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার সাংবাদিকদের বলেন, তারা এখনও (হিলারি ক্লিন্টনের) ১৪ হাজার ৯০০টি ইমেইল পুনরায় পরীক্ষা করে দেখছেন।

“সেগুলোর মধ্যে কয়টি ব্যক্তিগত এবং কয়টি দাপ্তরিক তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেগুলোর মধ্যে কয়টি এরই মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে তাও আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে সেখানে কিছু মেইল আছে যা আগে কখনও  প্রকাশ করা হয়নি।”

২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি।

হিলারি ওই সময় দাপ্তরিক কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট ব্যবহারের করেন বলে খবর প্রকাশ পায়। যা তার নির্বাচনী প্রচারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ইমেইল ব্যবহারে এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা তার দক্ষতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ব্যক্তিগত ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে যেসব ইমেইল আদান-প্রদান করেছেন সেগুলোর মধ্যে ৩০ হাজার ০৬৮টি এরই মধ্যে সংগ্রহ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রায় ৫৫ হাজার পাতায় সংগৃহীত ওই ইমেইলগুলোর বেশিরভাগই প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে দুই হাজারের বেশি ইমেইলে গোপনীয় তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ।

হিলারির ইমেইল কাণ্ডকে ইস্যু বানিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তাকে অযোগ্য প্রমাণের চেষ্টায় আছে।

নতুন করে আবার ইমেইলই প্রকাশ হিলারিকে কিছুটা অসুবিধায় ফেলে দিতে পারে।

এখন পর্যন্ত জনমত জরিপগুলোতে বিরোধী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন হিলারি।

কবে নাগাদ নতুন করে আবার ইমেইল প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শুনানির তারিখ বিবেচনায় তার আগে নতুন করে ইমেইল প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জুডিশিয়াল ওয়াচের পক্ষ থেকে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন হিলারির কাছে আসা কয়েকটি ইমেইলে তার পারিবারিক দাতব্য ফাউন্ডেশনের ডোনারদের তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টোনের বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনার মধ্যে অসঙ্গতির কিছু নেই।”

“বিভিন্ন স্তরের মানুষ একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার সহকারীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চাইতে পারেন।”