পুলিশের পাকস্থলিতে ৪০টি ছুরি

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে এক পুলিশ কর্মকর্তার পাকস্থলি কেটে ৪০টি ছুরি বের করেছেন স্থানীয় চিকিৎসকেরা। প্রত্যেকটি ছুরি প্রায় সাত ইঞ্চি লম্বা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2016, 08:28 AM
Updated : 23 August 2016, 12:35 PM

অমৃতসর কর্পোরেট হাসপাতালের সার্জনরা অস্ত্রোপচারটি করেছেন বলে হাসপাতালের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে যখন কোনো রোগী তাদের কাছে আসেন এবং আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় পাকস্থলিতে পিণ্ডের অবস্থান ধরা পড়ে, তখন তারা পাকস্থলিতে টিউমার অথবা ক্যান্সার হয়েছে বলে ধরে নেন।

কর্পোরেট হাসপাতালের সার্জনরাও প্রথমে তাই ভেবেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার ওই রোগীর পাকস্থলির এন্ডোস্কপি করার সময় তারা খুব ‘আলাদা ধরনের কিছু’ দেখতে পান বলে ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান হাসপাতালটির প্রধান সার্জন জতিন্দ্রর মালহোত্রা। 

এগুলো এতোই আলাদা ধরনের ছিল যে তা নিশ্চিত করতে তারা সিটি স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ এর আগে পাকস্থলিতে এ ধরনের কিছু কখনোই দেখেননি তারা।

সার্জনরা বুঝতে পারলেন ওগুলো ছুরি, পকেট ছুরি, প্রতিটা প্রায় সাত ইঞ্চি করে লম্বা।

“আমার ২০ বছরের চিকিৎসক জীবনে আমি এ ধরনের কোনো রোগী দেখিনি। আমি হতবাক হয়ে পড়েছিলাম,” এক সাক্ষাৎকারে বলেন মালহোত্রা।

“আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ছুরিগুলো সে কয়েকদিনে না কয়েক মাসে খেয়েছে। সে জানালো, গেল দুই মাসে সে ২৮টি ছুরি খেয়েছে।”

স্ক্যান করেও পাকস্থলিতে ২৮টি ছুরির অবস্থান নিশ্চিত হল।

পাঁচজন সার্জনের একটি টিম অস্ত্রোপচার করে তার পাকস্থলি থেকে ২৮টি ছুরি বের করে আনলো।

এর বেশিরভাগই ভাঁজ হয়ে থাকলেও কয়েকটি খোলা ছিল। ছুরিগুলোর ধারালো অংশগুলো খোলা থাকায় লোকটার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে জানান মালহোত্রা।

“তিনি সম্ভবত বেশিদিন বাঁচবেন না,” বলেন তিনি।

“কিন্তু আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি,” বলেন মালহোত্রা।   

সম্ভবত ৪২ বছর বয়সী ওই পুলিশ কর্মকর্তা ভুল তথ্য দিয়েছেন, সন্দেহ করলেন চিকিৎসকরা। যে ব্যক্তি ছুরি খায় তিনি স্বাভাবিক হতে পারে না, তিনি হয়ত গণনায় ভুল করেছে, ভেবে চিকিৎসকরা তাকে আবার স্ক্যান করলেন। 

এবারের স্ক্যানে আরো ১২টি ছুরি আবিষ্কার হল। এগুলো বের করার পর তার পাকস্থলি থেকে বের করা মোট ছুরির সংখ্যা ৪০টি হল।  

আমেরিকান বোর্ড অব মেডিসিনের জার্নাল জানিয়েছে, পিকা নামের এক ধরনের অসুস্থতায় ভোগা মানুষজন অস্বাভাবিক বস্তু খেয়ে থাকে।