দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই নয়া প্রেসিডেন্ট মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
পুলিশ মাদকসংক্রান্ত আরো ১,০৬৭টি খুনের ঘটনা তদন্ত করছে।
ফিলিপিন্সের জাতীয় পুলিশ প্রধান রোনাল্ড ডেলা রোসা সোমবার সিনেট কমিটিকে বলেন, শুধু ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত পুলিশের অভিযানে ৭১২ জন মাদক চোরাকারবারী ও ব্যবহারকারী নিহত হয়েছেন।
আর বাকি হাজারেরও উপরে খুনের ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে। ফলে এ সংক্রান্ত খুনের সংখ্যা ১,৮০০ ছাড়িয়ে গেছে।
জাতিসংঘ এইসব হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করায় গেল রোববার প্রেসিডেন্ট দোতার্তে বিশ্ব সংস্থাটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দেন।
ফিলিপিন্সের ঘনিষ্ঠমিত্র যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এসব ঘটনার প্রতিবেদন জেনে তারা ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকারের রীতিনীতি মান্য করে আইন প্রয়োগ নিশ্চিতের ব্যাপারে দোতার্তে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এরআগে রোববার জাতিসংঘ ছাড়ার হুমকি দেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট।
তার মাদকবিরোধী লড়াইকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় অপরাধ বলে জাতিসংঘের সমালোচনার পর তিনি এ হুমকি দেন।
দোতার্তে বলেন, জাতিসংঘের মতো আরেকটি সংস্থা গঠন করার জন্য তিনি চীন ও আফ্রিকার দেশগুলোকে আহ্বান জানাবেন।
সন্ত্রাস, ক্ষুধা ও সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে ব্যর্থতার জন্য তিনি জাতিসংঘকে দায়ী করেন ।
চলতি বছরের মে মাসে নির্বাচিত হওয়া দোতার্তে মাদক ব্যবসা নির্মূলে পাচারকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এ নির্দেশকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে বারবার এর নিন্দা করেছে জাতিসংঘ।
৯ মে দোতার্তে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন প্রায় ৯শ’ মাদক পাচারকারীকে হত্যা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দুই বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, দোতার্তে সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারীদের হত্যা করতে পুলিশ ও জনগণকে নির্দেশ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। তাছাড়া এ পদক্ষেপ সহিংসতা এবং হত্যাযজ্ঞ উস্কে দেওয়ারই নামান্তর।
পাল্টা জবাবে এ দুজন বিশেষজ্ঞকে ‘মূর্খ’ আখ্যা দিয়ে দোতার্তে বলেছেন, মাদকের কারণে কতো নিরীহ মানুষ প্রাণ যায় তাদের তা হিসাব করা উচিত।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের অপমান করতে চাই না। কিন্তু জাতিসংঘ থেকে হয়ত আমাদের সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা এত রুঢ় হলে আমাদেরকেও জাতিসংঘ ছাড়তে হতে পারে।