বলা হচ্ছে, সঙ্গীত জীবনমান বাড়ানোর পাশাপাশি কমাতে পারে উদ্বেগ। ভুলিয়ে দিতে পারে ক্যান্সারের দুঃসহ যন্ত্রণাও। কাজ করতে পারে থেরাপি হিসাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ড্রেক্সেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জোক ব্রাড নেতৃত্বাধীন একটি গবেষকদল সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। একে বলা হচ্ছে ‘মিউজিক থেরাপি’।
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মিউজিক বা সঙ্গীতের প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালিয়ে তাদের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।
৩ হাজার ৭৩১ জন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন যে, সঙ্গীত রোগীদের অবস্থার উন্নতিতে বিশেষভাবে কাজ করে।
সামগ্রিকভাবে, মিউজিক রোগীদের উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে। হৃৎপিণ্ড, শ্বাসকষ্টজনিত ব্যথা ও নিম্নরক্তচাপ কমাতে সঙ্গীত কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গবেষকরা বলছেন, চেতনানাশক ও বেদনানাশক ঔষধের ব্যবহার কমাতে ‘মিউজিক থেরাপি’ কাজে আসবে। তবে আরও সুফলের জন্য তারা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।
গবেষক দলের প্রধান ব্রাড বলেন, ‘মিউজিক থেরাপি ও মিউজিক মেডিসিন দুটোই ক্যান্সার আরগ্যে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তবে আমরা এখনও জানি না ঠিক কোন ফলের জন্য কোন থেরাপি প্রয়োজন।’
গবেষকরা আশা করছেন, তাদের পর্যালোচনা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন স্বাস্থ্যসেবা চালু করবে ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের জন্য মনোসামাজিক সেবার ব্যবহার বাড়াবে।