বিবিসি বলছে, প্রথমবারের মতো গোষ্ঠীটির নেতা আবু মোহাম্মেদ আল-জুলানির ধারণকৃত বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে জিহাদি এই সংগঠনের নাম পাল্টে জাবহাত ফতেহ আল-শাম রাখা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সিরিয়ার অধিবাসীদের উপর যে অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো বোমা হামলা চালাচ্ছে সেই অজুহাত দূর করতেই তাদের এই পদক্ষেপ।
তবে এর প্রতিক্রিয়ার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী সংগঠনই মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই ঘোষণা হতে পারে রিব্র্যান্ডিংয়ের কৌশল মাত্র।
এরআগে আল-কায়েদা জানিয়েছিল, তারা এই পদক্ষেপ সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির দ্বিতীয় প্রধান আহমেদ হাসান আবু আল-খায়ের বলেছিলেন, সিরিয়ায় ইসলাম, মুসলমান ও জিহাদ সুরক্ষায় নুসরা ফ্রন্টের নেতাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বার্তায় তিনি ঘোষণা দেন, নয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো বিদেশি সংগঠনের সম্পৃক্ততা থাকবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অভিযান বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে নুসরা ফ্রন্ট নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, জঙ্গি এই গোষ্ঠীটিতে ৫ থেকে ১০ হাজারের মতো যোদ্ধা রয়েছেন। তাদের অধিকাংশই সিরিয়ার নাগরিক।