ট্রাম্পকে ঠেকাতে মিলিয়ন ভোটার সংগ্রহ অভিযান

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় ঠেকাতে কয়েক লাখ ভোটারের তালিকা করতে মাঠে নেমেছেন একদল মুসলিম-আমেরিকান।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2016, 07:16 AM
Updated : 24 July 2016, 07:16 AM

আমেরিকান মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে গড়া মোর্চা ‘ইউএস কাউন্সিল অব মুসলিম অর্গানাইজেশন’ ১০ লাখের বেশি ভোটারের নাম সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে।

২৩ জুলাই পর্যন্ত তিন লক্ষাধিক মুসলমান-আমেরিকান এতে স্বাক্ষর করেছেন বলে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ট্রাম্প মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং যারা নাগরিকত্ব নিয়েছেন, তাদের নজরদারিতে রাখার যে ঘোষণা দিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও দেশটিতে প্রায় ৯০ লাখ মুসলিম রয়েছেন। এরমধ্যে অনেকেই সাম্প্রতিক বছরগুলোয় নাগরিকত্ব পেলেও ভোটার তালিকায় তাদের নাম ওঠেনি।এমন মুসলিমদেরই খোঁজা হচ্ছে এই তালিকায় ওঠানোর জন্য।

‘ইউএস কাউন্সিল অব মুসলিম অর্গানাইজেশন’র বোর্ড সদস্য ওসামা আবু ইরসাঈদ বলেন, “ভার্জিনিয়া ও ফ্লোরিডার মত ফলাফল নির্ধারনী রাজ্যে মুসলমান ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ হলে ট্রাম্পকে ধরাশায়ী করা খুব কঠিন হবে না।”

“ভোটের মাঠে মুসলিম বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জবাব ব্যালটেই দিতে হবে,” বলেন এই মুসলিম নেতা।

কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্সের (কেয়ার) সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, মুসলিম ভোটারের ১১ শতাংশ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

কেয়ারের নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির যে ভয়ঙ্কর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা রুখতে মিলিয়ন ভোটার সংগ্রহের অভিযানের গুরুত্ব অনেক।”

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্যের জবাবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মুসলিমদের আমেরিকার অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, তাদের মধ্যে গুটিকয়েক সহিংসতায় যুক্ত থাকলেও ঢালাওভাবে সবাইকে দোষারোপ করা উচিত নয়।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২১ জুলাই হোয়াইট হাউজে এক নৈশভোজে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করে ওবামা বলেন, “অন্য আমেরিকানদের মত মুসলমানরাও সন্ত্রাসবাদের হুমকিতে ভীত। আর এমন অবস্থায় যারা সহিংস ঘটনা ঘটায় তারা পুরো মুসলিম-আমেরিকান সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না।”

যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধে যে বক্তব্য ট্রাম্প দিয়েছেন তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসলামিক স্টেটের অপকর্মের জন্য মুসলমানদের ওপর দোষ চাপিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব যদি ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহলে সেটি জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় ভালো কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। আইএস এবং আল কায়েদা তো পবিত্র রমজানে মুসলমানদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ মানায় না বলেও মন্তব্য করেন ওবামা।