বিন লাদেনের বাড়ির জমিতে কী হবে, দ্বন্দ্ব পাকিস্তানে

পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরে যে বাড়িতে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন আত্মগোপনে থেকে নিহত হন, সেখানে কী তৈরি করা হবে তা নিয়ে সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2016, 03:42 PM
Updated : 23 July 2016, 01:10 PM

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই জায়গায় শিশুদের খেলার মাঠ করতে চায়, অন্যদিকে সেখানে কবরস্থান করার ইচ্ছা সেনাবাহিনীর।

ওই জমির দখল নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। সর্বশেষ বুধবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ‘হতবাক’ করে জমিটি ঘিরে সেনাবাহিনী একটি দেওয়াল দিয়েছে।

অ্যাবোটাবাদ শহরের এই বাড়িতে ২০১১ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন লাদেন। উঁচু দেওয়ালে ঘেরা তিন তলা ভবনে বেশ কয়েক বছর ধরেই গোপনে বসবাস করছিলেন তিনি।

লাদেন নিহত হওয়ার পর থেকে ওই জমিটি অব্যবহৃত রয়েছে। ৩৮ হাজার বর্গফুটের জমিটির আনুমানিক বাজার মূল্য দুই লাখ ৮৫ হাজার ডলার।

লাদেনের মৃত্যুর পর জমিটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সেখানকার ভবন ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়। জায়গাটি জিহাদি ও তাদের সমর্থকদের কাছে পূণ্যস্থান ওয়ে ওঠা ঠেকাতে এটা করা হয় বলে ধারণা অনেকের।

এরপর আশপাশের জায়গায় স্থাপনা উঠতে থাকলেও ওই জায়গাটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। জমিটি কীভাবে ব্যবহার করা হবে এবং কে এর ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করবে তা নিয়ে এখন স্থানীয় সরকার ও সামরিক কর্তৃপক্ষের এই বিবাদ তৈরি হয়েছে।

ওসামা বিন লাদেন

সেনাবাহিনী পরিচালিত ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফ অ্যাবোটাবাদ-সিবিএ জায়গাটি দখলে গত মে মাসে একবার উদ্যোগ নেয়, সে সময় এর চারপাশ ঘিরে একটি বেড়া দেয় তারা। তখন প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ করলে তা সরিয়ে ফেলা হয়।

এরপর বুধবার সেখানে নতুন করে তিন ফুট উঁচু দেওয়া হয়েছে।

সিবিএ কাউন্সিলের সদস্য বশির খান বলেন, সেনাবাহিনী জায়গাটিকে একটি কবরস্থানে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

“স্থানীয় জনগণের জন্য কাছাকাছি কোনো কবরস্থান না থাকায় এটা দরকার,” বিবিসিকে বলেন তিনি।

তবে ওই পরিকল্পনা নাকচ করে প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী মুসতাক ঘানি বলেন, জায়গাটি জনবহুল একটি এলাকার মাঝখানে এবং ‘কবরস্থানের উপযুক্ত নয়’।

“অধিকন্তু, ক্যান্টনবোর্ড কর্তৃপক্ষ দেওয়াল তৈরি করেছে এমন জায়গায়, যেটি প্রাদেশিক সরকারের।”

জায়গাটিতে শিশুদের খেলার মাঠ তৈরির আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “খেলার মাঠের পাশাপাশি জমিটি জানাজার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

“এলাকার লোকজনের কাছাকাছি কোনো খেলার মাঠ ও জানাজা পড়ার জায়গা নেই।”