ওহাইওতে রিপাবলিকান পার্টির কনভেনশনে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এ মনোনয়ন গ্রহণ করে ক্লিভল্যান্ডে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, “আজ যে সন্ত্রাস ও নৃশংসতা আমাদের দেশকে পীড়া দিচ্ছে, শিগগিরই এর অবসান হবে।”
শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন পেলেও রিপাবলিকান দলের অনেক প্রভাবশালী নেতা প্রকাশ্যে ট্রাম্পের বিরোধিতা করেছেন।
যাদের একজন টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ।
কনভেনশনে মূল মঞ্চ থেকে দেওয়া এক ভাষণে তিনি ট্রাম্পকে দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানান।
মার্কিন রাজনীতিতে প্রভাবশালী বুশ পরিবারের সদস্যরাও কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন না।
এরপরও ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়া আটকে থাকেনি।
বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ইসলামপন্থি জঙ্গি ও অবৈধ অভিবাসীদের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে রয়েছে।
“আমরা আমাদের দেশে আবারও নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও শান্তি ফিরিয়ে আনব। আমরা আবার উদার ও আন্তরিক দেশে পরিণত হব। কিন্তু সেই সঙ্গে আমরা সুশৃঙ্খল দেশেও পরিণত হব।”
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডেমক্র্যাটিক দলের হিলারি ক্লিন্টনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি মৃত্যু, ধ্বংস ও দুর্বলতা ডেকে এনেছেন।”
প্রেসিডেন্ট হলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সবার আগে বিবেচনার’ প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প।
তার পরিকল্পনা প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন:
# অবৈধ অভিবাসী, মাদক ও সন্ত্রাস আটকাতে বড় ধরনের সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ করবেন তিনি।
# গণক্ষমা, গণহারে অভিবাসীদের আগমন ও ব্যাপক বিশৃঙ্খলার প্রস্তাব রাখার জন্য তিনি হিলারির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
# কয়েক দশক ধরে অভিবাসীদের জন্য আমেরিকান ও ল্যাটিন আমেরিকানদের কম বেতনে কাজ করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
# যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নগরে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ব্যর্থ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
# প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার অবৈধ অভিবাসী যাদের অতীতে অপরাধ করার রেকর্ড রয়েছে তারা মুক্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং যুক্তরাজ্যবাসীদের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে, বলেন ট্রাম্প।
# ‘আমেরিকার মধ্যবিত্তদের ধ্বংসকারী’ বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
# বৈদেশিক নীতিতে বিশ্বায়ন নয় বরং আমেরিকার কর্তৃত্ব বজায় রাখার কৌশল গ্রহণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।