তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জেরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড় চলার মধ্যেই তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2016, 04:31 AM
Updated : 21 July 2016, 04:31 AM

গেল শুক্রবার রাতে তুর্কি সামরিক বাহিনীর একটি অংশ ক্ষমতা থেকে এরদোয়ানকে উৎখাতের চেষ্টায় বিদ্রোহ করে। কিন্তু সামরিক বাহিনীর সব অংশ সমভাবে সাড়া না দেওয়ার পাশাপাশি এরদোয়ান ও তার সহকর্মীদের তড়িৎ পদক্ষেপে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়।

বিবিসি ও রয়টার্স বলছে, বুধবার রাজধানী আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে নিজের মন্ত্রিসভাকে সামনে রেখে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ঘোষণায় এরদোয়ান জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা জানান।

জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগে প্রায় পাঁচঘণ্টা ধরে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।  

ঘোষণায় তিনি বলেন, “জরুরি অবস্থা ঘোষণার লক্ষ হল গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে হুমকি মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করা।”

তিন মাসের এই জরুরি অবস্থাকালে ‘সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে থাকা সকল ভাইরাস পরিষ্কার করার’ প্রত্যয় জানান তিনি।

জরুরি অবস্থার নিয়মকানুন গ্যাজেট আকারে প্রকাশের পর থেকে জরুরি অবস্থা কার্যকর হতে শুরু করবে। এর মাধ্যমে পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই নতুন আইন জারি ও প্রয়োজন হলে নাগরিক অধিকার স্থগিত বা সীমিত করতে পারবেন প্রেসিডেন্ট ও তার মন্ত্রিসভা।

ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার হাজার হাজার ব্যক্তির আটকাদেশ দীর্ঘায়িত করতেও জরুরি অবস্থার শরণ নেওয়া যাবে।

“এই পদক্ষেপ কোনোভাবেই গণতন্ত্র, আইন ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নয়,” বলেন এরদোয়ান।

অভ্যুত্থান চেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় এরই মধ্যে ৬০০ স্কুল বন্ধ ও হাজার হাজার রাষ্ট্রীয় কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

অভ্যুত্থান প্রতিরোধ করতে গিয়ে যারা নিহত হয়েছেন ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে তাদের প্রসংশা করেছেন এরদোয়ান।

সরকারি তথ্যানুযায়ী, অভ্যুত্থান প্রতিরোধ করতে গিয়ে অন্ততপক্ষে ২৪৬ জন নিহত হয়েছেন।