হিলারির জন্যে মাঠে স্যান্ডার্স

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন দলটি থেকে প্রেসিডেন্ট পদের মনোনয়ন প্রত্যাশায় থেকে সরে দাঁড়ানো বার্নি স্যান্ডার্স।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2016, 06:42 PM
Updated : 12 July 2016, 06:42 PM

ভারমন্টের এই সিনেটর মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ারে হিলারির এক নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তার প্রতি এই সমর্থন ব্যক্ত করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেলিগেট ভোট জয় করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করার পাঁচ সপ্তাহ পর হিলারিকে এই  সমর্থন জানালেন মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে তার প্রাথমিক পর্বের প্রতিদ্বন্দ্বী স্যান্ডার্স।

স্যান্ডার্সের পক্ষ থেকে হিলারির প্রতি এই সমর্থন ফিলাডেলফিয়ায় ডেমোক্রেটিক দলের জাতীয় কনভেনশন থেকে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার দুই সপ্তাহ আগে দেওয়া হলো।

আগামী ২৫ জুলাই ওই জাতীয় কনভেনশন হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ১৭ জুন স্যান্ডার্স প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে হিলারিতে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তবে তখনও নিজেকে ডেমোক্রেট দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি তিনি।

এবার নিউ হ্যাম্পশায়ারে হিলারির প্রচারণায় উপস্থিত হয়ে স্যান্ডার্স বলেন, “তিনি (হিলারি) যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন- এটি নিশ্চিত করতে আমি যা যা পারি তার সবকিছুই করব বলে মনস্থির করেছি।”

এই নিউ হ্যাম্পশায়ারেই ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পাওয়ায় প্রাথমিক লড়াইয়ে হিলারিকে হারিয়েছিলেন স্যান্ডার্স।

মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারণায় হিলারিকে সমর্থন জানানোর সময় স্যান্ডার্সের ব্যাপক সংখ্যক সমর্থককেও উপস্থিত হতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রচারণায় দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে হিলারিকে ‘নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ভালো প্রার্থী’ হিসেবে অভিহিত করেন এই সিনেটর।

হিলারি ক্লিনটনও সমর্থন জানানোর জন্য বার্নি স্যান্ডার্সকে ধন্যবাদ জানান।

মনোনয়ন নিশ্চিত হলে হিলারি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কোনো রাজনৈতিক দল থেকে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। এ পর্যন্ত আসতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের ২২৭ বছর লাগল।