শনিবার রোমে এক সংবাদ সম্মেলনে রেনসি বলেন, “ইতালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামি মৌলবাদের কারণে সংগঠিত এই দুঃখজনক ঘটনার মোকাবেলা করছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবন ধ্বংস করতে চাওয়া ওইসব মস্তিষ্কবিকৃত মানুষদের হুমকির পরও ইতালি পিছু হটবে না।”
শুক্রবার রাতে ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের কূটনীতিক পাড়ায় একদল অস্ত্রধারী যুবক হলি আর্টিজান নামের একটি বেকারিতে ঢুকে পড়ে এবং অস্ত্রের মুখে সেখানে থাকা ব্যক্তিদের জিম্মি করে।
ওই সময় ঢাকাস্থ ইতালির দূতাবাস থেকে জিম্মিদের মধ্যে সাত ইতালীয় থাকতে পারেন বলে জানানো হয়েছিল।
বাংলাদেশে দেশটির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমার বরাত দিয়ে ইতালির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ খবর প্রচার করেছে বলে জানিয়েছিল রয়টার্স।
জিম্মি সাত ইতালিয়র মধ্যে ছয় জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- স্টুডিও টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাদিয়া বেনেদিত্তো, গুলশান ২ নম্বরের আরেক ইতালীয় বায়িং হাউজ ডেকাওয়ার্ল্ডের প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি ভিনসেনজো ডি ভিনসেনজো, অ্যাডেল, মারকো, মারিয়া ও সিমিওন।
শনিবার সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জিম্মি সঙ্কটের অবসান হয়। অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত এবং সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে জীবিত আটকের খবর জানায় দেশটির সেনাবাহিনী।
শ্রীলঙ্কার দুই জন এবং জাপানের এক নাগরিকসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বেকারির ভেতরে ২০টি মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে জিম্মি ওই সাত ইতালীয়র মৃতদেহ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও সংবাদ সম্মেলনে হামলায় ইতালির কয়জন নাগরিক নিহত হয়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি রেনসি।